এ মাসের ৬ তারিখে দৈনিক বণিক বার্তায় একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বলা বাহুল্য, প্রতিবেদনটি ব্যাংক খাতের বহুদিনের পুরনো একটা সমস্যার ওপর। সমস্যাটি সিকিউরিটি বা জামানত সম্পর্কিত। বণিক বার্তা বলছে, ঋণের নামে ব্যাংক থেকে অর্থ বের করে নেয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকরা জমিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। এতে সহযোগীর ভূমিকা পালন করছেন ব্যাংকাররা। প্রতিবেদক তথ্যও সংগ্রহ করেছেন। তার সংগৃহীত তথ্য মোতাবেক ২০১০ সালে জমি ও রিয়েল এস্টেট জামানত (সিকিউরিটি) রেখে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল মোট বিতরণকৃত ঋণের ৪৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ১২ শতাংশ। অর্থাৎ এ সময়ে মোট বিতরণকৃত ঋণের ৬৭ দশমিক ১২ শতাংশই দেয়া হয়েছে জমি ও রিয়েল এস্টেটের বিপরীতে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ হচ্ছে ব্যাংক গ্যারান্টি, যার বিপরীতে ব্যাংকগুলো ঋণ দিয়েছে। তথ্যগুলোর সূত্র বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই এ সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন তোলা যায় না। কিন্তু মূল ইস্যু যা তার ওপর আলোকপাত করা দরকার, আলোচনা করা দরকার এই বন্ধকি সম্পত্তি আদৌ বিক্রি করে টাকা উদ্ধার করা যাবে কিনা অথবা এদের অস্তিত্ব আছে কতটুকুু?
জমি ও রিয়েল এস্টেটের প্রশ্ন আসছে কেন? আসছে এই কারণে যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী কোলেটারেল সিকিউরিটি ছাড়া ঋণ দেয়া যায় না। এটা হচ্ছে অতিরিক্ত সিকিউরিটি। মূল সিকিউরিটি যা, সেই জামানতের নাম হচ্ছে প্রাইমারি সিকিউরিটি। মূল সিকিউরিটি থাকলেই ঋণ দেয়া যায় না। অতিরিক্ত জামানত নেয়া হয় ঋণের টাকা আদায়ে শতভাগ নিশ্চয়তার জন্য। জামানতের ক্ষেত্রে দেখা যায়, গ্রাহকদের দেখানো জমি বা রিয়েল এস্টেটের মূল্য আর বাজারমূল্য এক হয় না। আবার বাজারমূল্য পাওয়া যায় না জরুরি বিক্রির ক্ষেত্রে। আবার ব্যাংক যখন নিলামে জমি বা সম্পদ বিক্রি করে, তখন তার মূল্য আরো কম হয়। এসব অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ব্যাংক দুই ধরনের জামানত নেয়। কথা আছে আরো। দুই ধরনের জামানত না নিয়ে ঋণ দিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের খাতায় এই ঋণ হবে নিয়মবহির্ভূত ঋণ, যা শাস্তিযোগ্য। ব্যাংকের নিজস্ব নিরীক্ষায়ও তা অনিয়মিত ঋণ বলে পরিচিত হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের ‘কমার্শিয়াল অডিট’ও একই আপত্তি জানাবে। এমতাবস্থায় অতিরিক্ত জামানত একটি অবশ্যকীয় বিষয় এবং তা ঋণের ক্ষেত্রে একটা ‘হাতিয়ারে’ পরিণত হচ্ছে অথচ এই হাতিয়ার বা ‘জামানত’ কোনো জামানত নয়।
স্বাধীনতার পর এ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়। বলা হয় জামানতবিহীন ঋণের কথা। যুক্তি হচ্ছে সদ্য স্বাধীন দেশ। ব্যবসায়ী দরকার, উদ্যোক্তা দরকার। মিল–ফ্যাক্টরি গড়ে তোলা দরকার। অথচ বাঙালিদের জামানত দেয়ার ক্ষমতা সীমিত। ১৯৪৭–পূর্ব বাংলাদেশে জমি ছিল বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অমুসলিমদের হাতে। ১৯৪৭–৭১ পর্যন্ত সময়ে শহুরে জমি–সম্পত্তি, রিয়েল এস্টেটের মালিক ছিল প্রধানত অবাঙালি মুসলমান। নওয়াবপুর রোড, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম ও নিউ মার্কেটই হচ্ছে তখন ব্যবসাস্থল। এসব অবাঙালিদের দখলে। মফস্বলে ব্যবসাপাতি পুরনো ব্যবসায়ীদের দখলে। ১৯৭১ পরবর্তীকালে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটে। অবাঙালি ব্যবসায়ীরা অনুপস্থিত। বাঙালি হিন্দু ব্যবসায়ীরাও অনেকে অনুপস্থিত। একধরনের শূন্যতা ব্যবসায়, শিল্প ও বাণিজ্যে। অথচ বাঙালির হাতে সেভাবে টাকা ও জামানত নেই। ১৯৭৬ সালেও ৪ কোটি টাকা দিয়ে কয়েকজন মিলে একটি ফাইন্যান্স কোম্পানি করার মতো লোক ছিল না। ১৯৮০–৮২ সালের দিকে একটি প্রাইভেট ব্যাংক করার মতো পুঁজি ছিল না আমাদের ব্যবসায়ীদের। এমতাবস্থায় জামানতবিহীন ঋণের কথা ওঠে। কিন্তু তা হয়নি। কেউ সাহস করে ওদিকে যায়নি। তবে জামানতবিহীন ঋণের জন্য তৈরি হয় ব্যাংকের বাইরে একটি প্রতিষ্ঠান ‘গ্রামীণ ব্যাংক’। সরকারি উদ্যোগে এবং সরকারি নিয়মের অধীনে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই ব্যাংক তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংক নয়। এটি ছোট ছোট ঋণ দেয়ার জন্য গঠিত। ভূমিহীনদের জন্য ঋণ। তাদের জামানত দেয়ার ক্ষমতা নেই। তাহলে কি তারা ঋণ পাবে না? কিছু একটি করে খেতে পারবে না? তখন ‘গ্রুপ সিকিউরিটি’ ধারণার সৃষ্টি হয়। ছোট ছোট গ্রাহককে নিয়ে গ্রুপ তৈরি হয়। গ্রুপের একজন অন্যজনের সিকিউরিটি। বলা যায় যৌথ সিকিউরিটির সঙ্গে যোগ হচ্ছে নিবিড় মনিটরিং। এই ভিত্তিতে ব্যাংকটি চলতে শুরু করে। মন্দ হয়নি। কিন্তু বাণিজ্যিক ব্যাংক ওই পথে যেতে পারেনি। ‘কাস্টমার’ একমাত্র বিবেচ্য—এই ধারণা বিক্রি হয়নি। কাস্টমার কেমন এটা যেমন দেখতে হবে, দেখতে হবে সিকিউরিটিও। সিকিউরিটি মানে প্রাইমারি ও কোলেটারেল সিকিউরিটি। অথচ এসব জামানত দিতে পারে এমন গ্রাহকের সংখ্যা খুবই কম কিন্তু অনেকেই উদ্যোক্তা হতে চায়। অনেকেই স্বাধীনতার পর, বিশেষ করে জনশক্তি রফতানি শুরু হওয়ার পর, টাকার মুখ দেখে। ছোট ছোট ব্যবসা দিয়ে অনেকেই শুরু করে। ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির ব্যবসা তখন তুঙ্গে। ‘ব্রিফকেস’ ব্যবসায়ী বলে একধরনের ব্যবসায়ী তৈরি হয়। যারা বৈধ ও অবৈধ পথে বিদেশী পণ্য এনে বিক্রি করত। সিগারেটও ছিল অন্যতম বস্তু। অবৈধভাবে আনা বিদেশী কত সিগারেট যে প্রশাসকরা পুড়িয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই। এভাবে বেশ অনেক লোকেই টাকা বানায়। কিন্তু তাদের ‘কোলেটারেল’ দেয়ার ক্ষমতা সীমিত। চারদিকের চাপ তখন ব্যাংকের ওপর। ঋণ দিতে হবে। তা না হলে শিল্প, ব্যবসা হবে কী করে? কৃষি ঋণ, তাঁতি ঋণ, বেবিট্যাক্সি (থ্রি হুইলার) ঋণ, বাস–ট্রাকের জন্য ঋণ দিতে হবে। সরকারি উদ্যোগেই দিতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য হলো ‘বিকল্প’ ঋণের ব্যবস্থা। এর অধীনে ছাত্রদের বাস কিনে দেয়া হয়। তারা চালাবে। কিছুদিনের মধ্যেই তারা তা সফলতার সঙ্গে চালাতে না পেরে অন্যের পরিচালনায় দিয়ে দেয়। এ ধরনের ছোট ছোট উদ্যোগ দিয়েই শুরু। বঙ্গবন্ধু ইউনিয়নে ইউনিয়নে পর্যন্ত আমদানি করার পারমিট দিয়েছিলেন। এই পারমিট বিক্রি করে অনেকেই টাকা বানিয়েছিলেন। যেসব ঋণের কথা বললাম, এসবে জামানতের ব্যবস্থা ছিল খুবই শিথিল। সরকারি ব্যাংক এসবে জড়িত ছিল। বলা বাহুল্য, ছোট ছোট উদ্যোক্তার টাকা/ঋণ দিতে দিতে অভ্যস্ত ব্যাংকাররা একসময় জামানতে শিথিলতা দেখাতে দেখাতে মাঝারি ঋণে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে জড়িয়ে পড়ে বড় ঋণে। দৈনিক বণিক বার্তার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঋণ দেয়ার ক্ষমতা ব্যাংকের নেই—এ কথা ব্যাংকাররা তাদের বলেছেন। প্রভাবশালীরা আসেন ব্যাংকে। তাদের ঋণ দিতেই হয়। উল্লেখ্য, প্রভাবশালী লোক সবসময় সব সরকারের আমলেই ছিল। ব্যাংকাররা এদের প্রভাবে কাজ করতে করতে এখন অভ্যস্ত। কারণ তা না হলে চাকরি যাবে। এখন তো চাকরি যায় যখন–তখন। এটা ব্যাংকে ব্যাংকে বড় একটা সমস্যা। ব্যাংকের মালিকরা এমন কর্মকর্তাদের কাছে টানেন, যারা তাদের সেবা করবে। এরাই সেবা করতে করতে ওপরে উঠবে। এরাই অবসরের পর তাদের ব্যবসায় উপদেষ্টা হবে। ব্যাংকার–মালিক–ব্যবস্থাপক–ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের মধ্যে একটা বোঝাপড়ার সৃষ্টি হয় ধীরে ধীরে। এই বোঝাপড়াতে পেছনে পড়ে ভালো কোলেটারেল সিকিউরিটির প্রশ্ন। এটা হয়ে পড়েছে লোক দেখানো জামানত। এই বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখার আর সুযোগ থাকেনি। এই ক্ষেত্রে এক শ্রেণীর আইনজীবী সহায়কের ভূমিকা পালন করেন। বলা বাহুল্য, কোনো জমি–বাড়ি–ফ্ল্যাট–সম্পত্তি অতিরিক্ত জামানত হিসেবে নিতে হলে তার মালিকানা ঠিক আছে কিনা, তা যাচাই করেন উকিল সাহেবরা। তাদের ক্লিয়ারেন্স ছাড়া সম্পত্তি বন্ধক নেয়া যায় না। আবার সম্পত্তির মূল্যায়নের জন্য রয়েছে (ভ্যালুয়েটর) মূল্যায়নকারী। একাধিক মূল্যায়নকারীর মূল্যায়ন নেয়ার ব্যবস্থা আছে। বলাই উচিত ব্যাংকার, ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তা (প্রভাবশালী ব্যক্তি), উকিল, ভ্যালুয়েটর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সবাই মিলে গড়ে ওঠে এ বৃহত্তর পার্টনারশিপ। আজকের যে অবস্থা, তা ওই ব্যবস্থারই ফসল। এই যে তৈরি পোশাক শিল্প, তার জন্মেও একই ইতিহাস। ইনল্যান্ড বিল পার্চেজড (আইবিপি) বলে একটা ইনস্ট্রুমেন্ট আছে। ব্যাংকে এটা ডিসকাউন্ট করে গ্রাহককে ঋণ দেয়। ব্যাংকাররা চোখ বুজে এসবের বিপরীতে ঋণকে সহজলভ্য করেন। এমতাবস্থায় কাজির গুরু যেমন কেতাবে থাকে জামানতও আছে তেমনি কেতাবে। ‘ট্রাস্ট রিসিট’ (টিআর) দিয়েও গ্রাহকদের পুঁজি করার সুযোগ দেয়া হয়। পণ্য এল বাইরে থেকে। তা বিক্রি করে টাকা দেবেন গ্রাহক। তা দেয়া হয় না। ওই টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণে পরিণত করা হয়। প্রকৃত কোলেটারাল এখানে কিছুই নেই। ব্যাংক গ্যারান্টি, করপোরেট গ্যারান্টি, পারসোনাল গ্যারান্টিই হচ্ছে আরেক মাধ্যম। একে জামানত দেখিয়ে ঋণ দেয়া হয়। ফল কী? আজকে যে শিল্প–কারখানা গড়ে উঠেছে, যে আমদানি–রফতানি ব্যবসা হচ্ছে, এসব ব্যাংকারদের সহযোগিতার ফল: বলা যায় নিয়মকানুন পালনে শিথিলতার ফল। যদি কড়াকড়ি করা হতো, তাহলে এত বড় শিল্প খাত গড়ে উঠত কিনা তা ভেবে দেখার বিষয়। আবার শ্রেণীবিন্যাসিত ঋণ, কুঋণ এসবও তাদের শিথিলতা ও নিয়মকানুন ভাঙার ফল। তবে এজন্য শুধু তাদের দায়ী করা যাবে না। এজন্য সরকারের একটা নীতি দায়ী। ‘ব্যাংক ফিন্যান্সড গ্রোথ’ পলিসি। লোকের হাতে পুঁজি নেই। তাদের হাতে টাকা ধরিয়ে দাও। তারা শিল্প–ব্যবসা করবে। তারা স্টক এক্সচেঞ্জে যাবে না। বাংলাদেশে এখন শত শত, হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক ব্যবসায়ী আছে। তারা কিন্তু শেয়ারবাজারে যায় না পুঁজির জন্য। কারণ ব্যাংকের ঋণ যদি সস্তায়, ঝামেলাহীনভাবে পাওয়া যায়, তাহলে স্টক এক্সচেঞ্জে কে যাবে? ‘ব্যাংক ফিন্যান্সড গ্রোথ’ নীতিতে ফল লাভ হয়নি এ কথা বলা যাবে না। কিন্তু এর পরিণতি ব্যাংক খাতের জন্য হয়েছে ভয়াবহ। শিল্প ব্যাংক, শিল্প ঋণ সংস্থা শিল্পঋণ দিয়ে ফতুর হয়েছে। এখন এরা নেই। বিসিসিআই হয়েছে একটি বেসরকারি ব্যাংক। বেসিক ব্যাংক নড়বড়ে অবস্থায়। ফারমার্স ব্যাংকের হয়েছে নতুন নাম পদ্মা ব্যাংক। আর জামানতের পরিণতি? এর পরিণতি কী তা বণিক বার্তার রিপোর্টে আছে। সিকিউরিটির এখন তিন অবস্থা: অস্তিত্বহীন সিকিউরিটি, কম মূল্যের সিকিউরিটি যা দিয়ে ঋণের টাকা আদায় করা সম্ভব নয়। তৃতীয়টি মানসম্পন্ন সিকিউরিটি। মালিকানায় কণ্টকাবস্থার জন্য জমি বিক্রি করা সম্ভব নয়। এক কথায় ব্যাংক খাতের ৭০ শতাংশ ঋণ এখন বস্তুত জামানতবিহীন। অর্থাৎ এসব জামানত বিক্রি করে ব্যাংকের ঋণ আদায় আদৌ সম্ভব নয়। আরেক কথা। ব্যাংক সম্পত্তি বিক্রি করতে চাইলে কোনো গ্রাহক পাওয়া যায় না। আবার এত বড় বড় সম্পত্তির কল–কারখানা ও ব্যবসা আছে, যা বিক্রি করা যায় না, কারণ এত টাকা দিয়ে তা কেনার কোনো লোক নেই। এমতাবস্থায় দেখা যাচ্ছে ব্যাংকগুলো এখন সমানে মামলা করে যাচ্ছে খেলাপিদের বিরুদ্ধে। আবার বড়দের পুনঃতফসিল করে দেয়া হচ্ছে। নানা সুযোগ–সুবিধা দিয়ে তাদের টিকিয়ে রাখা হচ্ছে। উদার ও সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার ফলে আবার অনেক শিল্পে অতিরিক্ত ক্যাপাসিটিও তৈরি হয়েছে। কভিড–১৯ অবশ্য সম্পূর্ণ নতুন এক পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত তারাও ঋণ পাচ্ছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত নয় তারা বরং আগে পাচ্ছে। ভবিষ্যৎই বলবে ব্যাংকিং খাতের পরিণীতি কী হবে?
ড. আরএম দেবনাথ: অর্থনীতি বিশ্লেষক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক