নিজস্ব প্রতিবেদক :: আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন। সোমবার (১১ জানুয়ারি) প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। বর্তমানে দুটি পৌরসভার মেয়রের চেয়ার আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও এবার দলীয় প্রার্থীর জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ‘বিদ্রোহীরা’। দুই পৌরসভায় দলীয় মেয়র প্রার্থীকে ‘চ্যালেঞ্জ’ জানিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন চার বিদ্রোহী প্রার্থী। এদিকে, একটিতে একক ও অপরটিতে একজন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের চেয়ে স্বস্তিতে রয়েছে বিএনপি।
তবে দুই দলের জেলা শাখার শীর্ষ নেতারা বলছেন, দলের সিদ্ধান্ত না মেনে যারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাবেল এবার দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। তার জায়গায় এবার দল আস্থা রেখেছে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদের উপর। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াননি রাবেল। দলীয় প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে এবার জগ প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন তিনি। তার সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন সাবেক মেয়র ও গোলাপগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ পাপলু। মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনযুদ্ধে আছেন তিনি।
গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহীন। এ পৌরসভায় মেয়র পদে বড় দুই দল ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দল প্রার্থী দেয়নি।
এদিকে, জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন ৮ প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২ জন ও বিএনপির একজন বিদ্রোহী প্রার্থী। এ পৌরসভায় এবারও দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়েছেন বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী খলিল উদ্দিন। তার সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফারুক আহমদ ও উপজেলা যুবলীগের সদ্য পদত্যাগী আহ্বায়ক আবদুল আহাদ। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে যুবলীগের আহ্বায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হন আহাদ।
আওয়ামী লীগের মতো বিএনপি প্রার্থীকেও এ পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থীকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ইকবাল আহমদ তাপাদার। তার সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন হীরা। এছাড়াও জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল মালেক ফারুক, ফুলতলী পীরের সংগঠন আঞ্জুমানে আল ইসলাহ’র পৌর সভাপতি মাওলানা হিফজুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফরুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসঙ্গে সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম সিলেটভিউকে বলেন, ‘জকিগঞ্জের বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে শিগগিরই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী সিলেটভিউকে বলেন, ‘দল করতে হলে দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সিলেটভিউ২৪ডটকম/শাদিআচৌ/আরআই-কে-০১