হাড়কাঁপানো নয়, রীতিমতো হাড় জমে যাওয়া ঠাণ্ডায় ভুগছে স্পেনের মানুষজন। কিছুদিন আগেই তীব্র তুষারঝড়ে এলোমেলো করে গেছে স্প্যানিশদের জীবনযাত্রা। সেই ধকল এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই আবার শুরু হয়েছে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ।
গত সোমবার রাতে দেশটির মধ্যাঞ্চলে তাপমাত্রা নেমে এসেছিল মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ভয়াবহ এ পরিস্থিতি বয়স্কদের ঘরের বাইরে বের হতে সতর্ক করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
তীব্র শীতে দেশটিতে এপর্যন্ত অন্তত সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে বার্সেলোনার দুই গৃহহীন ব্যক্তি রয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার রাতে স্পেনের মোলিনা ডি আরাগন এবং তেরুয়েল এলাকার তাপমাত্রা নেমে এসেছিল মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (মাইনাস ১৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট), যা দেশটির ইতিহাসে গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
‘স্প্যানিশ সাইবেরিয়া’
স্পেনে এত বেশি শীত পড়েছে যে, সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা মোলিনা ডি আরাগনকে স্থানীয়রা ‘স্প্যানিশ সাইবেরিয়া’ নামে ডাকতে শুরু করেছেন।
তীব্র শীত পড়েছে রাজধানী মাদ্রিদেও। সোমবার রাত নামতেই শহরটির তাপমাত্রা নেমে এসেছিল মাইনাস ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
করোনাভাইরাসের কারণে এমনিতেই স্পেনের হাসপাতালগুলোতে বেড সংকট রয়েছে। তার ওপর, বরফে আঘাত লেগে আহত লোকজনও ভিড় করতে শুরু করেছেন সেখানে।
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার মাদ্রিদের আঞ্চলিক হাসপাতালগুলোতে ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ ভর্তি হয়েছেন, যারা বরফ দুর্ঘটনায় আহত। অর্থাৎ, হাসপাতালগুলোতে প্রতি ঘণ্টায় রোগী আসছেন গড়ে ৫০ জনেরও বেশি।
এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতি সামলাতে বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে মাদ্রিদ প্রশাসন।
তীব্র তুষারপাতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ায় বন্ধ ছিল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা হাই-স্পিড রেল সার্ভিস। অবশ্য পরে সেটি আবারও চালু হয়েছে।
এছাড়া, রাস্তাগুলো পরিষ্কার করতে ১ হাজার ৩০০টির বেশি বরফকাটা গাড়ি নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ প্রশাসন।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/জিকেএস