ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন হলো বুলবুল

TechtunesBd

আমরা সকলেই তো এতদিন এ বুলবুল এর নাম শুনেই ফেলেছি । চলুন আজ যেনে নেই কেনো এর নাম বুলবুল হলো ।  বিশ্বব্যাপি ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিকাল অর্গানাইজেশন বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে ঝড়ের নামের তালিকা গ্রহণ করে । প্রয়োজন মতো এই সমস্ত তালিকা থেকে বেছে নেওয়া হয় নাম। ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে উদ্ভূত ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের নামের তালিকা আঞ্চলিক কমিটির কাছে পাঠায় ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, এবং থাইল্যান্ড।

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এই আটটি দেশের তরফে আটটি করে ভবিষ্যতের সাইক্লোনের নাম জমা করা হয়েছে। সেই ৬৪ টি নামের তালিকা থেকেই বেছে নেওয়া হয় ‘ফণী’, ‘তিতলি’, বা ‘আয়লা’। বর্তমানে এই তালিকার শেষ স্তম্ভ থেকে নাম বাছা হচ্ছে, ফলে এই অঞ্চলে পরবর্তী সাইক্লোনের নাম হতে চলেছে ‘পবন’, সৌজন্যে শ্রীলঙ্কা। ‘বুলবুল’ নামটি দিয়েছে পাকিস্তান ৷

বুলবুলের পাশাপাশি গুজরাট উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ‘সাইক্লোন মাহা’। তার আগে ‘ফণী’, অথবা ‘বায়ু’, অথবা ‘তিতলি’, আমাদের সকলেরই ভালোরকম মনে আছে। এখন কথা হচ্ছে, এইসব নাম কে বা কারা রাখে? উত্তর হলো, বিভিন্ন দেশ।

বহু বছর আগেই স্থির করা হয়, সংখ্যা বা পরিভাষার চেয়ে যেহেতু নাম মনে রাখা সহজ, সেহেতু নামকরণ করা হবে গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের (tropical cyclone)। এতে যেমন জন সচেতনতা বাড়াতে সুবিধে হয়, তেমনই মিডিয়ার সুবিধে হয় ঝড় নিয়ে লিখতে।

নামকরণের এই প্রথা প্রথম চালু হয় অ্যাটল্যান্টিক মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে। যেসব ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৯ মাইল ছাড়িয়ে যেত, তাদের বিশেষ সম্মান জানাতে নামকরণ করা হতো। ঘণ্টায় হাওয়ার গতিবেগ ৭৪ মাইল ছাড়িয়ে গেলে হারিকেন, সাইক্লোন, বা টাইফুন হিসেবে ভাগ করা হতো। বর্তমান যুগে এই তিনটির একটি হলে তবেই কোনও ঝড়কে নামকরণের সম্মান প্রদান করা হয়।

আজকের দিনে ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের আনুষ্ঠানিক নামকরণ করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিকাল অর্গানাইজেশনের আওতায় এগারোটি সতর্কতা কেন্দ্রের যে কোনও একটি। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সব নাম জমা পড়ে এই সংস্থার আঞ্চলিক ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটির কাছে। একবার নাম চূড়ান্ত হয়ে গেলে তা বদল করা যায় না, যদি না ঝড়ের ফলে খুব বেশি মাত্রায় মৃত্যু অথবা সম্পত্তি বিনষ্ট হয়। যেমন ধরুন, ‘ফণী’ নামটা কে রেখেছিল? উত্তর: বাংলাদেশ। এই নামকরণের প্রস্তাব গ্রহণ করে দিল্লির রিজিওনাল স্পেশালাইজড মিটিওরোলজিকাল কেন্দ্র।

ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে ঝড়ের নামের তালিকা। ‘বুলবুল’-এর পরে আসছে ‘পবন’। ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিকাল অর্গানাইজেশন একটি প্রক্রিয়া চালু করেছে যার দ্বারা বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে ঝড়ের নামের তালিকা গ্রহণ করে তারা। প্রয়োজন মতো এই সমস্ত তালিকা থেকে বেছে নেওয়া হয় নাম। ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে উদ্ভূত ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের নামের তালিকা আঞ্চলিক কমিটির কাছে পাঠায় ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, এবং থাইল্যান্ড।

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এই আটটি দেশের তরফে আটটি করে ভবিষ্যতের সাইক্লোনের নাম জমা করা হয়েছে। সেই ৬৪ টি নামের তালিকা থেকেই বেছে নেওয়া হয় ‘ফণী’, ‘তিতলি’, বা ‘আইলা’। বর্তমানে এই তালিকার শেষ স্তম্ভ থেকে নাম বাছা হচ্ছে, ফলে এই অঞ্চলে পরবর্তী সাইক্লোনের নাম হতে চলেছে ‘পবন’, সৌজন্যে শ্রীলঙ্কা।

উল্লেখ্য, ২০১৯ এর মরসুম ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের নিরিখে সবচেয়ে সক্রিয় মরসুমগুলির একটি। ইতিমধ্যেই সাতটি ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে এই অঞ্চল দিয়ে, যার মধ্যে নজিরবিহীন ভাবে ছ’টি ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্মের’ সম্মান অর্জন করেছে। সপ্তম ঝড়টি ছিল ‘কিয়ার’, যাকে ‘সুপার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ আখ্যা দেওয়া হয়।

বানান ভুল এর জন্যে ক্ষমা করবেন। চাইলে আমার এই

Movie Blog

থেকে ঘুরে আসতে পারেন ।