ওয়েব ডিজাইন কি??
ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটের জন্য বাহ্যিক অবয়ব তৈরী করা। ওয়েব ডিজাইনারের মুল কাজ একটা সাইটের জন্য টেমপ্লেট বানানো, এখানে কোন এপ্লিকেশন থাকবেনা।যেমন লগিন সিস্টেম, নিউজলেটার সাইনআপ, পেজিনেশন, ফাইল আপলোড করে ডেটাবেসে সেভ করা, ইমেজ ম্যানিপুলেশন, যদি সাইটে বিজ্ঞাপন থাকে তাহলে প্রতিবার পেজ লোড হওয়ার সময় বিজ্ঞাপনের পরিবর্তন এগুলি এপ্লিকেশন, ওয়েব এপ্লিকেশন।এসব তৈরী করতে হয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ দিয়ে। কোন প্রকার এপ্লিকেশন ছাড়া একটা সাইট তৈরী করা এটাই ওয়েব ডিজাইন, এধরনের ডিজাইনকে বলতে পারেন স্টাটিক ডিজাইন।ওয়েব ডিজাইনের জন্য এই ধারনাটি সাধারনত ব্যবহৃত হচ্ছে।
ওয়েব ডিজাইন শিখতে যেসব জানতে হবেঃ
এইচটিএমএল :
এটা একটা মার্ক আপ ল্যাংগুয়েজ, প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ নয়, শেখা খুব সহজ।
সিএসএস :
এটাও মার্ক আপ ল্যাংগুয়েজ
ফটোশপ :
এখানে যে মুল কাজটি শিখতে হবে তাহল পিএসডি থেকে এইচটিএমএল টেমপ্লেট (PSD to HTML) বানানো এছাড়া ব্যানার, বাটন, এনিমেশন তৈরী করা এসব জানতে হবে। অতিরিক্ত হিসেবে ফ্ল্যাশ দিয়ে এনিমেশন তৈরী করা শিখতে পারেন।
যেভাবে ওয়েব ডিজাইন শিখবেনঃ
বিভিন্ন ওয়েব সাইটের টিউটোরিয়াল থেকে ওয়েব ডিজাইন ভালভাবে শিখতে পারবেন। বাংলা ইংরেজি অনেক সাইট আছে এসব শেখার।ওয়েব ডিজাইন শেখা বেশ সহজ, কয়েকমাসেই শেখা সম্ভব।ভালভাবে শিখতে পারলে ওয়েব ডিজাইনের উপর প্রচুর চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং এ হাজার হাজার কাজ পাওয়া যায়। এসকল অএব সাইটের মধ্য www.w3schools.com সবার সেরা। আমি বিশ্বাস করি একজন ওয়েব ডিজাইনারের জন্য এই সাইটের বেশি আর কিছু লাগবে না।। সাইটের প্রতিটা মেনু পড়ুন এবং নিজে নিজে সবসময় প্র্যাকটিস করুন আর বুঝুন কোনটা দিয়ে কি হচ্ছে! আশা করি খুব দ্রুত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কিঃ
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে ওয়েবসাইটের জন্য এপ্লিকেশন তৈরী করা।উপরে যে এপ্লিকেশনগুলির উল্লেখ করেছি এধরনের আরো হাজারো এপ্লিকেশন আছে, ওয়েব ডেভেলপারকে এসব এপ্লিকেশন তৈরী করতে হবে। যদি ফ্রিল্যান্সিং করেন তাহলে ক্লাইন্টের চাহিদা অনুযায়ী এমনও এপ্লিকেশন তৈরী করা লাগতে পারে যার অস্তিত্ব পৃথিবীতে নেই। এই বিষয়টি বেশি চ্যালেন্জিং এবং ডাইনামিক।অর্থ্যাৎ আপনাকে এপ্লিকেশন ডিজাইন করতে হবে। তাই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কে আরও সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় ওয়েব এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে যেসব জানতে হবেঃ
এইচটিএমএল, সিএসএস এবং এরপর নিচেরগুলি.. ক্লাইন্ট সাইড প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যেমন জাভাস্ক্রিপ্ট : এটাকে ব্রাউজার স্ক্রিপ্টিং ও বলা হয় অর্থ্যাৎ এই ল্যাংগুয়েজ দিয়ে লেখা কোড শুধু কোন ব্রাউজারে (যেমন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, মজিলা ফায়ারফক্স, অপেরা, গুগল ক্রোম ইত্যাদি) কাজ করবে।জাভাস্ক্রিপ্টের ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে দ্রুত কাজ করা যায়। এরুপ একটি ফ্রেমওয়ার্ক জেকোয়েরি টিউটোরিয়াল। সার্ভার সাইড প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যেমন পিএইচপি : এটাকে সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং বলা হয় কারন এই ল্যাংগুয়েজ দিয়ে লেখা কোডগুলি শুধু সার্ভারে এক্সিকিউট হয়। ডেটাবেস : পিএইচপি দিয়ে কিভাবে ডেটাবেস সংযোগ করতে হয়, এসকিউয়েল দিয়ে ডেটাবেস বানানো অর্থ্যাৎ ডেটাবেস ডিজাইন জানতে হবে কারন এখন যেকোন ডাইনামিক সাইটের ডেটাবেস আছে অথবা বলতে পারেন ডেটাবেস থাকতেই হয়। পিএইচপি এর যেকোন একটা ফ্রেমওয়ার্ক যেমন কোডইগনাইটার : (আরও আছে যেমন কেক পিএইচপি, জেন্ড ফ্রেমওয়ার্ক, সিমফনি, ওয়াই আইআই, কোহানা ইত্যাদি একটা শিখলেই চলবে) : কোন ফ্রেমওয়ার্ক ছাড়াও ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরী করতে পারবেন তবে এতে বেশি সময় লাগবে এবং বেশি কোড লিখতে হবে। এক্সএমএল : API, ছোটখাট ডেটা স্টোরিং ইত্যাদির জন্য এক্সএমএল লাগে। যেভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখবেনঃ বাংলা ইংরেজি অনেক সাইট আছে এসবের টিউটোরিয়াল থেকে শিখতে পারবেন। এছাড়া Wrox বা Apress পাবলিকেশনের অনেক ভাল ভাল বই আছে সেগুলির সাহায্য নিতে হবে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার সবচেয়ে কার্যকরী কৌশলটি হল “বসে যান এবং একটা প্রজেক্ট তৈরী করুন” হতে পারে একটা ফোরাম, ব্লগ, ইউজার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা এই ধরনের কোন প্রজেক্ট। raw PHP দিয়ে করুন। এরপর সিএমএস বা ফ্রেমওয়ার্ক ডেভেলপমেন্টে যান। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে অনেক সময় লাগবে, শেখা কঠিন এবং প্রচুর ধৈর্য্য সাথে আগ্রহ লাগবে।চাকরি ক্ষেত্রে বা ফ্রিল্যান্সিং এ ওয়েব ডেভেলপারের চাহিদা আকাশছোয়া।
ওয়েব ডিজাইন কিভাবে শিখবেন??
এই প্রশ্নটা সবার মনেই প্রথম অবস্থায় আসবে এটাই স্বাভাবিক, আমি “কাজল” এই অ্যাপটাই শুধুমাত্র তৈরি করেছি কিছু সহজ পথ সকল ভাইদের দেখানোর জন্য যারা ফ্রিলান্সিং শিখতে চান, তো চলুন ওয়েব ডিজাইনের কিছু সহজ পথ আজ আপনাদের দেখাই, আপনিতো নিশ্চয় বুঝে গেছেন যে ওয়েব ডিজাইনিং কি? যদি না বুঝেন একটু Youtube a সার্চ মারেন।। এখানে আমি সার্চের কথা কেন বললাম জানেন? অবশ্যয় কোন না কোন কারণ আছে, একটু পরে বলছি।। আপনি কি বিশ্বাস করেন যে যদি আপানার কোন ইচ্ছা না থাকে তাহলে যেকোনো জিনিষ আপনার মন মত খুব ভাল কিছু হবে না? যদি বিশ্বাস করেন তাহলে এই ক্ষেত্রেও একই যদি শিখার ইচ্ছাটা আপনার শখ না হয় তাহলে আপনি হাজার ট্রেনিং নেন কিংবা শিখার জন্য প্রাইভেট টিউটর রাখেন পারবেন না।। এইটা শিখার জন্য আপনার ইচ্ছাশক্তি তথা শখটাই যথেষ্ট।। প্রথমে আপনাকে Basic HTML&CSS শিখতে হবে যেইটা শিখতে আপনার সর্বচ্চ ২-৩ মাস লাগবে।। তার পর অ্যাডভান্সগুলা ধীরে ধীরে সহজ হয়ে যাবে।। এখন সার্চের কাহিনী বলি, আমার এই অ্যাপের সবচেয়ে নিচে দেখবেন”GOOGLE YOUR BEST TEACHER” লিখা আছে, একবার ভেবে দেখুনতো কথাটার মর্ম কি হতে পারে? বিশ্বের এমন কোন সার্চ নাই যেইটার রেজাল্ট গুগল দিবে না! আপনি ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে শিখতে যে সমস্যায় পরবেন তখন ভাবুন এই সমস্যাতে আপনি জিবনের প্রথম পরলেন না, এর আগেও অনেকেই এই প্রবলেমগুলা ফেইস করেছে এবং আপনি বড় ভাগ্যবান যে তারা সমস্যাতে পরার পর গুগলে সমাধান চেয়েছিল এবং হাজার হাজার ডেভেলপার তাদের সমাধান দিয়ে গেছে, এখন একটা সার্চের মাধ্যমেই আপনি সেইটার সমাধান পেয়ে যাচ্ছেন তাই নয় কি? তাহলে আপনি কি ভাগ্যবান না? অর্থাৎ সার্চের অভ্যাস গরে তুলুন আর Youtube এ টিউটেরিয়াল দেখুন আর যতটা দেখবেন তারচেয়ে বেশি প্র্যাকটিস করবেন, এর বেশি আর কিছু লাগবে না বলে আমি আশা করি।।
ওয়েব ডিজাইন শিখতে কি কি লাগবে??
ব্যাসিক আসবাবপত্র এবং সফটওয়্যারঃ
- যেকোনো একটা কোড এডিটর যেমনঃ Notepad++,Sublime TEXT,etc.
- একটা ওয়েব ব্রাউজার যেমনঃMozilla Firefox,Google Chrome,Opera etc.
- HTML বা HyperText Markup Language জানতে হবে। এটার কাজ মূলত কিছু ট্যাগ ব্যবহার করে ওয়েব পেজ গঠন করা । এগুলো মানুষ পড়তে পারে । প্রোগ্রামিং ভাষা এর মত হাবিজাবি হ-জ-ব-র-ল ভাষা না । এগুলো তে কিছু পরিচিত শব্দ ব্যবহার করা হয় । এইচটিএমএল কে ওয়েবপেজ এর কংকাল বলা হয় । এটি ওয়েবপেজ এর গঠন তৈরি করে ।
- CSS বা Cascading Style Sheet জানতে হবে । এটি দিয়ে মুলত ওয়েবপেজ গুলো ডিজাইন করা হয় । শুধু এইচটিএমএল দিয়ে ওয়েবপেজ বানালে তা শুধু কিছু লেখা মাত্র দেখা যাবে। কিন্তু সেই ওয়েবপেজ কে সুন্দর রুপ দিতে হলে আপনার দরকার হবে সিএসএস। এইচটিএমএল হচ্ছে ওয়েব পেজ এর কংকাল আর সিএসএস হচ্ছে তার উপরে মাংস, চামড়া ইত্যাদি। বুঝতেই পারছেন, সিএসএস ছাড়া এইচটিএমএল একটি কংকাল এর মতই দেখাবে । সিএসএস এইচটিএমএল এর গঠনে রুপ দেয় ।
- Adobe photoshop: এটা তো সবাই জানেন এটা দিয়ে কি করে! এখানে যে মুল কাজটি শিখতে হবে তাহল পিএসডি থেকে এইচটিএমএল টেমপ্লেট (PSD to HTML) বানানো তবে কোন ওয়েব সাইটের ব্যানার, ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ, বাটন ইত্যাদি create করতেও এটা লাগবে!
- HTML5 ও CSS3 জানতে হবে। এগুলো মূলত যথাক্রমে HTML ও CSS এর নতুন ভার্সন। এগুলো শিখতে হলে অবশ্যই প্রথমে HTML ও CSS সম্বন্ধে জানতে হবে।
- এছাড়া সিএসএস ফ্রেমওয়ার্ক, রেস্পন্সিভ ডিজাইন ইত্যাদি শিখতে হবে । ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে যা যা জানতে হবে:
▬▬▬▬۩K۞K۩▬▬▬▬
অ্যাডভান্সগুলা পরে শিখবেন তাদের মধ্য থাকবেঃ
-
- JavaScript জানতে হবে। এটি একটি ক্লায়েন্ট সাইড স্ক্রিপটিং ভাষা । এটিকে ব্রাউজার এর ভাষা ও বলা হয় । জাভাস্ক্রিপ্ট শিখলে আপনি চলে যাবেন ওয়েব ডিজাইন এর একটি নতুন অধ্যায়ে। ভালো মানের ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই জাভাস্ক্রিপ্ট শিখতে হবে ।
- jQuery জানতে হবে। একটি জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরী । জেকুয়েরি আপনার ওয়েবসাইট এ জাভাস্ক্রিপ্ট এর ব্যবহার সহজ করে দেয় । যে প্রোগ্রাম টি করতে আপনার ১০০ লাইন এর জাভাস্ক্রিপ্ট লিখতে হবে, জেকুয়েরি দিয়ে আপনি সেটা এক লাইন এ করতে পারেন । আপনি যদি জাভাস্ক্রিপ্ট পারেন, তবে জেকুয়েরি শেখা আপনার জন্য সহজ হবে । জেকুয়েরি শিখতে হলে আপনাকে এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট জানতে হবে ।
- PHP জানতে হবে। পিএইচপি (PHP:Hypertext Preprocessor ) একটা সার্ভার সাইড,ক্রস প্লাটফর্ম, HTML-embedded স্ক্রিপ্টিং ভাষা। স্ক্রিপ্টিং হচ্ছে প্রোগ্রামের আরেকটা সমার্থক শব্দ। এটা হচ্ছে কিছু instruction এর সেট যেটা run করলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে কিছু কাজ হয়।“সার্ভার সাইড” বলতে বুঝানো হচ্ছে এই স্ক্রিপ্ট গুলোকে ইউজারের কম্পিউটার থেকে নিয়ন্ত্রনের বদলে সার্ভার থেকে handle করা। যখন কেউ পিএইচপি ওয়েব পেজ ভিজিট করবে তখন ওয়েব সার্ভার পিএইচপি কোডগুলিকে কিছু Process করবে যেমন: যেটা দেখানো দরকার (Picture,Content etc) সেটা দেখাবে আর যেটাকে লুকানো দরকার (math calculation,file operation etc) তা লুকাবে এবং শেষে HTML এ রুপান্তর করে ইউজারের ওয়েব ব্রাউজারে পাঠাবে।
- ডেটাবেস সম্পর্কে জানতে হবে। পিএইচপি দিয়ে কিভাবে ডেটাবেস সংযোগ করতে হয়, এসকিউয়েল দিয়ে ডেটাবেস বানানো অর্থ্যাৎ ডেটাবেস চালিত সাইট তৈরী করতে জানতে হবে।
- পিএইচপি এর যেকোন একটা ফ্রেমওয়ার্ক যেমন কোডইগনাইটার (আরও আছে যেমন কেক পিএইচপি, জেন্ড ফ্রেমওয়ার্ক, সিমফনি, ওয়াই আইআই, কোহানা ইত্যাদি একটা শিখলেই চলবে) সম্পর্কে জানতে হবে। কোন ফ্রেমওয়ার্ক ছাড়াও ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরী করতে পারবেন তবে এতে বেশি সময় লাগবে এবং বেশি কোড লিখতে হবে।
- XML জানতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে eXtensible Markup Language.এটা ডেটা বহন (Transport) এবং সংরক্ষন করার জন্য ব্যাবহার করা হয়। এটা জানা খুব গুরত্বপূর্ন কিন্তু শেখা খুব সহজ। এর সাহায্যে সহজেই নিজের মত করে ডেটাকে সংগায়িত করা যায়। নিজের মত করে মানে এর ভিতরের লেখা এবং বাইরের ট্যাগ নিজের মত করে করা যায়। XML শেখার আগে আপনাকে HTML এবং Javascript জানতে হবে।
এছাড়া ওয়েব ডেভেলপিং এ নিজেকে উন্নততর করতে আরো যেসব বিষয়ে জানা লাগবে: CMS সম্পর্কে জানতে হবে। CMS হচ্ছে “কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম”. অর্থাৎ, এটি দিয়ে কোন কোডিং ছাড়াই ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রন করা যায় । ধরুন আপনার এমন একটি ওয়েবসাইট দরকার যেটিতে আপনি প্রতিদিন নতুন কিছু যোগ করবেন । এখন প্রতিদিন ওয়েবসাইট এর কোড এডিট করে নতুন কিছু যোগ করা সম্ভব নয় । সে ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন CMS ব্যবহার করতে পারেন । এসব CMS গুলো এমন ভাবে কোড করা থাকে, যেন পরবর্তীতে আপনাকে কোন কোডিং করতে হয় না । সহজেই আপনি আপনার ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন । অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এবং ব্লগ CMS দিয়ে তৈরি । কিছু জনপ্রিয় CMS হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, ড্রুপাল ইত্যাদি । ওয়ার্ডপ্রেস টা এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় । কারণ এটি ব্যবহার করা খুব সহজ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি । ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই কমপক্ষে একটি CMS এর উপর ভাল ধারণা থাকতে হবে ।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা প্রোগ্রামিং??
এখানে আপনাকে প্রোগ্রামিং শিখতে হবে। এটাই মুল জিনিস ডেভেলপমেন্টে। মূলত ওয়েব প্রোগ্রামিং যেমন ASP.NET, PHP, Java বা অন্য কোন ল্যাংগুয়েজ। তবে পিএইচপির কাজ বর্তমানে সবচেয়ে বেশি। ওয়েব ডেভেলপমেন্টে প্রোগ্রামিং শেখার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট প্রচুর জিনিস শিখতে হবে। তা নাহলে বেশি উপরে উঠতে পারবেন না। যেমন ভালভাবে শেখা দরকারঃ
- যেকোন একটা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ মুলত পিএইচপি
- ডেটাবেস ডিজাইন যেমন মাইসিক্যুয়েল দিয়ে কমপক্ষে মধ্যম পর্যায়ের একটা পূর্নাঙ্গ রিলেশনাল ডেটাবেস বানাতে পারতে হবে।
- খুব ভাল কোয়েরি শিখতে হবে। SQL দিয়ে জটিল কোয়েরি করতে পারতে হবে।
- ফেইসবুক/গুগল/টুইটার/অ্যামাজন ইত্যাদি বিখ্যাত সাইটের ওয়েব সার্ভিস/ API ব্যবহার করা জানা উচিৎ। (এক্সএমএল)
- হোস্টিং সমন্ধে স্বচ্ছ ধারনা বিশেষ করে সার্ভার ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে ধারনা থাকা উচিৎ।
- সোর্স কন্ট্রোল যেমন git, tortoise svn ইত্যাদি দিয়ে কিভাবে একই প্রজেক্টে একাধিক ডেভেলপার কাজ করা যায় এসব জানতে হবে।
- এজাক্স, জেকোয়েরি এবং ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন টুলস সম্পর্কে প্রচুর জানতে হবে। যেমন নেটবিনস (কোড লেখার IDE), HeidiSQL, MySQL WorkBench (ডেটাবেস ডিজাইন টুল) এসব জানতে হবে।
সর্বোপরি ওয়েব ডিজাইনের কাজে সুপার সুপার এক্সপার্ট হতে হবে। অর্থ্যাৎ এইচটিএমএল, সিএসএস এবং জেকোয়েরি এসবের কাজ বাম হাতেই সেরে ফেলার মত যোগ্যতা থাকতে হবে। একজন ভাল প্রোগ্রামার হতে হলে আগে ভাল ডিজাইনার (বরং সুপার এক্সপার্ট) হতে হবে। শেখা খুব কঠিন। ২-৩ বছর পরিশ্রম করা লাগতে পারে যদি প্রতিদিন ৩/৪ ঘন্টা সময় দেন। মেধার উপর ভিত্তি করে সময় কমবেশি লাগতে পারে। চাহিদা এবং আপনার গুরত্ব হবে আকাশছোয়া। অনলাইনে প্রচুর টিউটোরিয়াল আছে, wrox, apress পাবলিকেশনের অনেক ভাল ভাল বই আছে এখান থেকে শিখতে পারেন। এই সাইটেও প্রচুর রিসোর্স আছে। (অ্যাডভান্সড পিএইচপি, ডেটাবেস ডিজাইন, ডেটাবেস পিএইচপি, OOPHP, পিএইচপি ফ্রেমওয়ার্ক, কোডইগনাইটার, জেন্ড, জুমলা, SEO) যে কাজই করতে চান না কেন আগে সেটাতে দক্ষতা অর্জন করুন এরপর ফ্রিল্যান্সিং এ যান। কিছু জানলেন কিংবা ভাসা ভাসা ধারনা এরুপ দক্ষতা নিয়ে আপওয়ার্কে বা যেকোন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খোলা হতাশা ছাড়া কিছু দিতে পারবেনা। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং এ আসার আগে ভাল স্কিল তৈরি করা উচিত।। আপনি সবকিছু সম্পরকে সুস্পষ্ট ধারনা রাখবেন যেন মুটামুটি কাজ আপনি প্রাথমিক অবস্থায় করতে পারেন।। বেশির ভাগ লোকজন কিভাবে আপওয়ার্কে একাউন্ট খুলতে হবে, কিভাবে কাজ পাওয়া যেতে পারে এসব কৌশল শিখতে তৎপর অথচ কাজ তেমন একটা শেখেনি। মার্কেটপ্লেস গুলিতে একাউন্ট খোলা ফেইসবুকের মতই সহজ এরপর কয়েকটি পরীক্ষা দিয়ে প্রোফাইল সমৃদ্ধ করতে পারেন। যেকোন বিড করার (যেমন আপওয়ার্কে “SUBMIT A PROPOSAL”) সময় কভার লেটার তথা আবেদনটি একটু আকর্ষনীয় করে লেখা উচিৎ। ভাল কভার লেটারের নমুনা গুগল সার্চে পাবেন। এগুলি খুবই গুরত্বপূর্ন বিষয় এবং পানির মত সহজ। এগুলি নিয়ে চিন্তা না করে আগে টেকনিকালি এক্সপার্ট হউন।
ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টে সাফল্য
বর্তমানে সবকিছু ওয়েব ভিত্তিক হওয়াতে নতুন নতুন ওয়েবের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমার ধারনা এই চাহিদার কোন কমতি হবে না কোন দিন একটা সময় আসবে যখন প্রতিটা প্রোডাক্টের জন্য একটা করে ওয়েবসাইট থাকবে, আর এখন বিভিন্ন মারকেটপ্লেসগুলাতে ওয়েব রিলেটেড কাজের অনেক চাহিদা এবং ডিমান্ড ও অনেক বেশি।। অনেক ফ্রিলান্সার খুব দ্রুতই এইটার মাধ্যমে অনেক ভাল পর্যায়ে চলে গেছেন।। তাদের মুলে ছিল ইচ্ছা,স্বপ্ন আর পরিশ্রম ।। এখনও এইটার মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় মাসে ১০০-৫০০ ডলার একজনের পক্ষে অতি সম্ভব।। অনেকেই অনেক বড় হয়ে গেছেন যেমন রাসেল ভাই, হাসেন হায়দার ভাই, আরও অনেকেই ওয়েব রিলেটেড কাজ করে অনেক বড় পর্যায়ে চলে গেছেন।। তাই আপনার ফ্রিলান্সিং এর জন্য এটিও একটি অতি উত্তম পন্থা হতে পারে ।।