ভারতে করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এজন্য পুনে থেকে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে এরই মধ্যে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাঠানো শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল এক অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর বলেন, প্রাথমিকভাবে ভারত নিজ দেশের জনগণকে টিকা প্রদানে গুরুত্ব দিচ্ছে। টিকা রফতানির বিষয়েও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এনডিটিভিসহ ভারতের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর বলেন, নিজ নিজ নাগরিকদের কাছে দ্রুত টিকা পৌঁছে দেয়ার বিষয়ে অন্য দেশগুলোর উদ্বেগের বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছে ভারত। আমাদের কী পরিমাণ টিকার প্রয়োজন হবে এবং অন্যদের কী পরিমাণ দেয়া যাবে, সে বিষয়ে আমরা শিগগিরই খুব স্পষ্ট ধারণা করতে পারব।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টিকা ও জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনকারী দেশ ভারত। বিশ্বব্যাপী কভিড–১৯–এর টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রেও অন্যতম বৃহৎ কেন্দ্রস্থল হতে চলেছে দেশটি।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আগামী শনিবার থেকে দেশটিতে প্রথম পর্যায়ের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এজন্য গতকালই সেরাম থেকে টিকার প্রথম ব্যাচ দিল্লি, চেন্নাই, কলকাতা, গুয়াহাটি, শিলং, আহমেদাবাদ, হায়দরাবাদ, বিজয়ওয়াড়া, ভুবনেশ্বর, পাটনা, বেঙ্গালুরু, লক্ষৌ ও চণ্ডীগড়ে পাঠানো হয়েছে। সেরাম থেকে ট্রাকে লোড করা টিকাগুলো উড়োজাহাজে করে এসব গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়।
দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করে এক টুইট বার্তায় বলেন, রোগটিকে (কভিড–১৯) নির্মূল করতে গোটা ভারতে বণ্টনের জন্য টিকা এখন উড়োজাহাজে লোড করা হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মতো বেশ কয়েকটি দেশ সেরামের উৎপাদিত টিকা কোভিশিল্ড হাতে পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। গত সপ্তাহেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে এ টিকার একটি চালান দ্রুত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো।