করোনায় ভিয়েতনামের কফি রফতানি কমেছে ৯%

Bonikbarta

ভিয়েতনামের রফতানি পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম কফি। নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে বিদায়ী বছরে দেশটি থেকে পানীয় পণ্যটির রফতানিতে মন্দা ভাব দেখা গেছে। রফতানি আগের বছরের তুলনায় প্রায় শতাংশ কমে কোটি ৫১ লাখ টনের কাছাকাছি নেমে এসেছে। সময় কফি রফতানি বাবদ দেশটির আয়েও শতাংশের বেশি পতন দেখা গেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ভিয়েতনামের জেনারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স সিনহুয়া।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ভিয়েতনাম থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার টন বা কোটি ৫২ লাখ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) কফি রফতানি হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে পানীয় পণ্যটির রফতানি কমেছে দশমিক শতাংশ।

রফতানির পরিমাণে মন্দা ভাবের পাশাপাশি বিদায়ী বছরে কফি রফতানি বাবদ ভিয়েতনামের আয়ও আগের তুলনায় কমে গেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে কফি রফতানি বাবদ ভিয়েতনামের আয় দাঁড়িয়েছে ২৭০ কোটি ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক শতাংশ কম।

ভিয়েতনাম মূলত রোবাস্তা কফি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। মান ভালো হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ভিয়েতনামে উৎপাদিত রোবাস্তা কফির চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা মহামারী লকডাউনের জের ধরে আমদানিরফতানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে আসায় ২০২০ সালে ভিয়েতনাম থেকে কফি রফতানিতে মন্দা ভাব নেমে এসেছে। একই সঙ্গে করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে দীর্ঘ সময় ধরে অফিসআদালত বন্ধ থাকা, হোম অফিস চলায় কফির চাহিদাও কিছুটা কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে ভিয়েতনামের কফি রফতানিতে।

এদিকে মাসভিত্তিক হিসাবে সর্বশেষ ডিসেম্বরে ভিয়েতনামিজ রফতানিকারকরা সব মিলিয়ে ৮৫ হাজার টন কফি রফতানি করেছে। সময় পানীয় পণ্যটি রফতানি করে তাদের আয় হয়েছে ১৭ কোটি ডলার।