সিলেটভিউ ডেস্ক :: ভারতের নাগরিকদের মাত্র ২৫১ টাকায় স্মার্টফোনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ব্যবসায়ী মোহিত গোয়েলকে প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় ২০০ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
তাকে স্মার্টফোন জালিয়াতি মামলায় আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়াও একাধিক মামলা ঝুলছিল তার নামে। কিন্তু আদালত গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ দেওয়ায় এতদিন জেলের বাইরেই ছিলেন তিনি। মোহিত এবং তার সহযোগীদের কাছ থেকে অডি-সহ দু’টি গাড়ি, ৬০ কেজি ড্রাই ফ্রুট এবং বহু নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার মোহিত ও তার ৫ সহযোগীকে নয়ডার সেক্টর ৫১-র মেঘদূতানম পার্কের কাছ থেকে গ্রেফতার করে নয়ডা পুলিশ। অভিযোগ, ‘দুবাই ড্রাই ফ্রুটস অ্যান্ড স্পাইসেস হাব’ নামের একটি সংস্থা খুলে ড্রাই ফ্রুটের ব্যবসা করছিলেন মোহিত। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া দামে বিপুল পরিমাণ ড্রাই ফ্রুট কিনে রাজধানী এবং সংলগ্ন এলাকায় খোলা বাজারে তা আরও চড়াদামে বিক্রি করতেন।
ব্যবসায়ীদের আস্থা জিততে প্রথম প্রথম অর্ডার হাতে পাওয়ার আগেই টাকা মিটিয়ে দিতেন। কিন্তু পরিচিতি তৈরি হতেই, নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে ৪০ শতাংশ টাকা দিয়ে পুরো অর্ডার বাগিয়ে নিতেন। বাকি টাকার চেক লিখে দিতেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ওই চেক ভাঙাতে গেলে, তা বাউন্স করত।
দীর্ঘ দিন ধরে মেহিতের বিরুদ্ধে এমন প্রায় ৪০টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। জানা যায়, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, দিল্লি, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং আরও একাধিক রাজ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জালিয়াতি করেছেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সেক্টর ৬২-এর কোরেন্থামের কাছে মাসিক ৩ লক্ষ টাকায় একটি অফিস ভাড়া নিয়ে আরও ৩-৪ জনের সঙ্গে মিলে ব্যবসা চালান মোহিত। সেখানে কর্মীদের মধ্যে তিন বিদেশি নাগরিককেও নিয়োগ করেছিলেন তাঁরা, যাঁরা মূলত ফ্রন্ট অফিসের কাজকর্ম চালাতেন।
এমবিএ পাশ করা মোহিতের উপর একাধিক মামলা ঝুলছে। তবে ২৫১ টাকায় স্মার্টফোনের স্বপ্ন দেখিয়ে গায়েব হয়ে যাওয়ার জন্যই তাকে চেনে গোটা দেশ। ২০১৬ সালে ‘রিংগিং বেল’ নামের একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তার আওতায় প্রত্যেক দেশবাসীর হাতে ২৫১ টাকায় সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘ফ্রিডম ২৫১’ স্মার্টফোন তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি দিয়ে তা নিয়ে ফলাও করে বিজ্ঞাপনও ছাপান তিনি। পেটিএম এবং অনলাইনে অগ্রিম টাকা জমা নিতে শুরু করে দেন। কিন্তু টাকা নিয়েও আজও ওই ফোন সরবরাহ করতে পারেননি তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ জানুয়ারি ২০২১/ডেস্ক/মিআচৌ-৫