খাদ্যনিরাপত্তা ও ভোক্তার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহৃত ভোজ্যতেলের প্রভাব সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গত সোমবার ‘পলিসি অব ডেভেলপিং কালেকশন সিস্টেম ফর ইউজড কুকিং অয়েল’
শীর্ষক একটি স্টেকহোল্ডার সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বক্তারা ব্যবহূত ভোজ্যতেল ব্যবস্থাপনায় নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান।
বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের থিংক ট্যাংক বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) ও মুয়েনজের বায়োইন্ডাস্ট্রি অব ইউরোপের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান মুয়েনজের বাংলা প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে ভার্চুয়াল ডায়ালগটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল কাইউম সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল কাইউম সরকার বলেন, ফুড সেফটি হাইজিন রেগুলেশন ২০১৮ এর ৭(ক) ধারা অনুযায়ী, খাবার প্রস্তুতের উপজাত দ্রব্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। ব্যবহূত ভোজ্যতেল রেস্তোরাঁ ও খাদ্য শিল্পের এক ধরনের বর্জ্য, যার কারণে ফুড সেফটি হাইজিন রেগুলেশন ২০১৮
অনুযায়ী এর পুনর্ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি জানান, রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য খাবার ব্যবসা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় নিয়মিত পরীক্ষা–নিরীক্ষার ক্ষেত্রে তার প্রতিষ্ঠান টেস্টিং মেথড বাস্তবায়নে আগ্রহী। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব জায়গায় কি পরিমাণ ভোজ্যতেল ব্যবহৃত হচ্ছে তা নিরূপণ করার জন্যই এ মেথড বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, বাংলাদেশে ব্যবহৃত ভোজ্যতেলের আনুষ্ঠানিক সংগ্রহ পদ্ধতি উন্নয়নে সরকারের নীতিসহায়তা অতীব প্রয়োজন। তিনি বলেন, যেসব অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের মধ্য দিয়ে ব্যবহৃত তেল পুনঃব্যবহৃত হচ্ছে, সেগুলো বন্ধে এবং আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে ব্যবহৃত তেল সংগ্রহে ও এর রিসাইক্লিংয়ের জন্য সরকারের আনুষ্ঠানিক নীতি পরামর্শ প্রয়োজন।