অভ্যন্তরীণ বাজারে বাড়তি দামের লাগাম টানতে গমের রফতানি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। নতুন শুল্কহার কার্যকর হওয়ার আগেই দেশটির বাজারে গমের রফতানি মূল্যে উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ সপ্তাহে রুশ গমের রফতানি মূল্য টনপ্রতি ১৩ ডলার বেড়েছে। মস্কোভিত্তিক কৃষিপণ্যবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইকেএআরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এগ্রিমানি ও রয়টার্স।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সর্বশেষ সপ্তাহে রাশিয়ার বাজারে ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) চুক্তিতে প্রতি টন সাড়ে ১২ শতাংশ প্রোটিন সমৃদ্ধ গমের রফতানি মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৭৫ ডলারে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির রফতানি মূল্য টনপ্রতি ১৩ ডলার বেড়েছে।
করোনা মহামারীর মধ্যে বাম্পার ফলনের পরও রাশিয়ায় গম ও গম থেকে তৈরি খাবারসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। করোনা মহামারীর মধ্যে খাবারের দাম অনেক বেশি বাড়লে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি মাথায় রেখে খাবারের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে না পারায় সম্প্রতি সরকারি কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্ভাব্য সংকট এড়াতে রফতানিতে লাগাম টানতে গমে বাড়তি শুল্ক আরোপ করে মস্কো। বেঁধে দেয়া হয় কোটা।
রুশ সরকার জানায়, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ জুন সময়ে রাশিয়া থেকে গম রফতানিতে টনপ্রতি ৩০ ডলার ৩২ সেন্ট রফতানি শুল্ক দিতে হবে। একই সময়ে রুশ রফতানিকারকরা সর্বোচ্চ ১ কোটি ৭৫ লাখ টন গম রফতানি করতে পারবেন। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার এক মাসের বেশি সময় আগেই দেশটিতে গমের রফতানি মূল্য চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বিশ্বের শীর্ষ গম রফতানিকারকের স্বীকৃতি পায় রাশিয়া। ওই বছর দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৪ কোটি ১৪ লাখ ৩১ হাজার টন গম রফতানির রেকর্ড হয়। মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) জানিয়েছে, টানা দুই বছরের মন্দা ভাবের পর গত বছর রাশিয়া থেকে সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৬০ লাখ টন গম রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।