অস্বাভাবিক তারতম্য খতিয়ে দেখার নির্দেশ বিএসইসির

Bonikbarta

দেশের শেয়ারবাজারে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে যেসব কোম্পানির শেয়ারদরে ৫০ শতাংশের বেশি পরিবর্তন হবে, সেসব শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো অনৈতিক চর্চার আশ্রয় নেয়া হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ত‌বে এক্ষেত্রে নি‌র্দিষ্ট কোনো কোম্পা‌নির বিরু‌দ্ধে তদ‌ন্তের নি‌র্দেশ দেয়া হয়‌নি। বরং সাম‌নের দিনগু‌লো‌তে শেয়ারদর, লেন‌দেন ও ইপিএসের অস্বাভা‌বিক তারতম্য হ‌লে স্টক এক্স‌চে‌ঞ্জের করণীয় কী হ‌বে সে বিষ‌য়ে নি‌র্দেশনা দেয়া হ‌য়ে‌ছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন বিএসইসির কর্মকর্তারা।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্তের এ নির্দেশ দিয়েছে। বিএসইসির উপপরিচালক মোহাম্মদ শামসুর রহমান স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত এক আদেশ গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (সিআরও) বরাবর পাঠানো হয়েছে।

শুধু দর বৃদ্ধিই নয়, ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশের বেশি কমবে, সেগুলোর বিষয়েও খতিয়ে দেখতে বলেছে বিএসইসি। এছাড়া তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির বার্ষিক বা প্রান্তিক শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের হিসাব বছর বা প্রান্তিকের চেয়ে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি কমবে অথবা বাড়বে এবং এক মাসে যেসব কোম্পানির গড় লেনদেনের পরিমাণ আগের ছয় মাসের গড় লেনদেনের চেয়ে পাঁচ গুণের বেশি বাড়বে, সেসব কোম্পানির শেয়ারের এসব পরিবর্তনের নেপথ্যের কারণও তদন্ত করতে বলেছে বিএসইসি।

এর বাইরে মূল্যসংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের আগের ১০ কার্যদিবসে যেসব কোম্পানির শেয়ারদর ও লেনদেন ৩০ শতাংশ বা তার বেশি ওঠানামা করবে, সেসব কোম্পানির বিষয়েও তদন্ত করবে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের কোনো ঘটনা শনাক্ত হওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে তাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে চিঠিতে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ বিষয়ে বণিক বার্তাকে বলেন, এ আদেশ জারির পর উল্লিখিত শর্তগুলোর আওতায় যদি কোনো ঘটনা ঘটে, তবে সেগুলো খতিয়ে দেখবে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ সাম্প্রতিক সময়ে যেসব কোম্পানির দর ও লেনদেন বৃদ্ধির ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলো এ আদেশের আওতায় পড়বে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সেগুলো তদন্তের আওতায় আনা হবে।