সাম্প্রতিক সময়ে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর ও লেনদেন বৃদ্ধির নেপথ্যে অপ্রকাশিত কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই। স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের চিঠির জবাবে কোম্পানি দুটি এ তথ্য জানিয়েছে।
অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ: বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বরের পর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারের দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। ওইদিন শেয়ারটির সমাপনী দর ছিল ৭ টাকা ৭ পয়সা। এরপর শেয়ারটির দর বেড়ে গতকাল ১২ টাকা ১০ পয়সায় এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫৭ শতাংশের বেশি।
এদিকে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। গত ২৪ ডিসেম্বর শেয়ারটির লেনদনের পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ৮৩৬টি। ২৯ ডিসেম্বর সেই কোম্পানিরই ১১ লাখ ৬১ হাজার ২২০টি শেয়ার লেনদেন হয়। সর্বশেষ গতকাল কোম্পানিটির ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৪৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ টাকা ৪৫ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৭৮ পয়সা।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা।
রংপুর ডেইরি: গত এক মাসের বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ১৩ ডিসেম্বরের পর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। ওইদিন শেয়ারটির দাম ছিল ১৫ টাকা ৩ পয়সা। গতকাল তা বেড়ে ১৯ টাকা ১ পয়সায় এসে দাঁড়িয়েছে। প্রবৃদ্ধির হার ২৬ শতাংশের বেশি।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য ২ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩১ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৪ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩০ জুন কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৭ পয়সা।