হিলি স্থলবন্দরের আটকে থাকা চাল খালাস শুরু

Bonikbarta

শুল্কায়ন মূল্য আদেশ জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে হিলি স্থলবন্দর থেকে তিনদিন ধরে আটকে থাকা চালগুলো খালাস শুরু হয়েছে। গত সোমবার রাত ৯টার পর থেকে হিলি স্থলবন্দরে আটকে থাকা আমদানীকৃত এসব চাল খালাস শুরু হয়।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কাস্টমসের গাফিলতির কারণে তিনদিন ধরে চাল খালাস করতে না পারায় আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমদানীকৃত এসব চাল দেশের বাজারে প্রবেশ করলে দাম কমে আসবে বলেও মনে করছেন তারা।

এর আগে গত শনিবার বন্দর দিয়ে প্রথম চালান হিসেবে নওগাঁর জগদীশ চন্দ্র রায় নামের আমদানিকারকের তিনটি ট্রাকে ১১২ টন চাল আসে। পরে রোববার বন্দর দিয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির হেনা এন্টারপ্রাইজ নামের আমদানিকারকের ২০টি ট্রাকে ৮২৮ টন চাল আমদানি হয়। একইভাবে সোমবার বন্দর দিয়ে আগের দিনের দুই আমদানিকারকের আরো আট ট্রাকে ৩২৯ টন চাল আমদানি হয়। সব মিলিয়ে তিনদিনে বন্দরে আটকা পড়ে আমদানীকৃত হাজার ২৬৯ টন চাল।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুনউর রশীদ বলেন, দেশে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। সে মোতাবেক বেসরকারি আমদানিকারককে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। সেসব নির্দেশনা মেনে বন্দর দিয়ে গত শনিবার চাল আমদানি শুরু করেন আমদানিকারকরা। কিন্তু কাস্টমসের গাফিলতির কারণে তিনদিন ধরে আমদানীকৃত চাল খালাস নিতে পারিনি আমরা। সরকার চাল আমদানি থেকে শুরু করে বাজারে সরবরাহ করার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু চাল আমদানি করার পর তিনদিন যদি বন্দরেই আটকা থাকে তাহলে শর্ত কীভাবে পূরণ করব? একই সঙ্গে চালের দাম কমবে কীভাবে?

হিলি স্থলবন্দর পরিচালনকারী প্রতিষ্ঠান পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, শুল্কায়ন জটিলতা কেটে যাওয়ায় সোমবার রাত থেকে বন্দরে আটকে থাকা চাল খালাস শুরু হয়েছে। বন্দরে আটকে থাকা ৩১টি ট্রাকের মধ্যে সাত ট্রাক চাল খালাসের পর ছাড়করণ নিয়েছে আমদানিকারকরা। একই সঙ্গে আজ (গতকাল) বন্দর দিয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তিনজন আমদানিকারকের ১৫ ট্রাক চাল আমদানি হয়েছে ১৫ ট্রাক চাল খালাস কার্যক্রম চলছে।

সার্বিক বিষয়ে হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম বলেন, কিছু আইনি জটিলতা থাকার কারণে বন্দর দিয়ে তিনদিন ধরে আমদানীকৃত চাল ছাড়করণ করতে পারিনি। ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধান করেছি। চালের শুল্কায়ন মূল্য নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল, সেটিও সমাধান হয়েছে। যেসব চাল বন্দরে আটকা রয়েছে, সেগুলো দ্রত খালাসকরণের জন্য তত্পর রয়েছি। একই সঙ্গে আটকে থাকা চালগুলো খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আগামীতে যেসব চাল আসবে, সেগুলো নিয়ে আর কোনো সমস্যা হবে না উল্লেখ করে বন্দরের কর্মকর্তা আরো বলেন, বন্দর দিয়ে এখন পর্যন্ত দুজন আমদানিকারক চাল আমদানি করেছেন। এর মধ্যে একজন আমদানিকারক ৪২৫ ডলার মূল্যে চাল আমদানি করেছেন। সেই মূল্যেই সেটি শুল্কায়ন করে ছাড় দেয়া হবে। অন্য আমদানিকারক ৩৫৬ ডলার মূল্যে চাল আমদানি করেছেন, সেটি ৩৭০ মার্কিন ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করে ছাড় দেয়া হবে। বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি ওই মূল্যে চাল নিতে রাজি হয়েছেন। সেভাবেই চালগুলো শুল্কায়ন করে ছাড় দেয়া হচ্ছে।