সাভারে বাসচাপায় প্রকৌশলী ও দেয়ালচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

Jagonews24

সাভারে বাস চাপায় একজন প্রকৌশলী এবং দেয়াল চাপায় এক শিশু শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সাভারের বলিয়াপুর এলাকার এন আর পাম্পের সামনে এবং আশুলিয়ার জিরানীবাজার এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-পারভেজ (২৩) ও হ্যাপী আক্তার মিনা (১৩)।

পারভেজ নোয়াখালীর সুদারাম থানার শৌলকিয়া গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে। তিনি সাভার থানাধীন আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

হ্যাপী আক্তার মিনা কুষ্টিয়ার পূর্ব রাতুলপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বলিয়াপুর এলাকার এন আর ফিলিং স্টেশনের সামনে অজ্ঞাত একটি পরিবহন মোটরসাইকেল চালক পারভেজকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

অন্যদিকে আশুলিয়ার জিরানী বাজার এলাকায় একটি পুরোনো বাড়ি ভাঙতে গিয়ে দেয়ালধসে হ্যাপী আক্তার মিনা নামের পথচারী এক শিক্ষার্থী মারা যায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও তিনজন পথচারী। দুপুরে জিরানীবাজার এলাকার হাজী আলী হোসেনের মালিকানাধীন মদিনা কলোনির একটি টিনশেড বাড়ি ভাঙার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

আহতদের মধ্যে রয়েছে নিহতের মা রেখা বেগম (৪০), ঠাকুরগাঁওয়ের আলম (৩৫) ও স্থানীয় টেঙ্গুরী এলাকার সাজ্জাদ (৪৫)।

থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বাড়ি নির্মাণের জন্য পুরান ভবনের দেয়াল ভাঙার কাজ করছিলেন কয়েকজন রাজমিস্ত্রী। এ সময় অসাবধানতাবশত বাড়ির দেয়াল ভেঙে পথচারীদের ওপরে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মিনা মারা যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আশুলিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দেয়াল চাপা পড়ে নিহত শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয় এবং আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও জানান, সংস্কারের কারণে ভবনটি ধসে পড়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আল-মামুন/এসআর/এমএস