বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ দিয়ে সিম নিবন্ধনের নিয়ম

TechtunesBd

দেশজুড়ে চলছে আঙুলের ছাপ বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন। নতুন গ্রাহকদের সিম কেনার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি ও আঙুলের ছাপ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। আর পুরাতন সকল গ্রাহককেই তাদের সিমের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫’তে চালু হওয়া আঙুলের ছাপ/বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে দেশের সকল মোবাইলের সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় একটি নির্দিষ্ট সময় পর সিমের সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হবে।


কীভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বা পুনঃনিবন্ধন করবেন?

আপনার নিজের নামে যদি সিম রেজিস্ট্রেশন করাতে চান, তাহলে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও সিম কার্ড নিয়ে আপনার মোবাইলের কাস্টমার কেয়ারে চলে যান। অবশ্য, এখন কাস্টমার কেয়ার ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে/দোকানে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন পয়েন্ট খোলা হয়েছে। যাচাই করে সেগুলোতেও যেতে পারেন।

আপনার সিমের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রথমেই আপনার সংশ্লিষ্ট সিমের মোবাইল নম্বর, এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) নম্বর প্রভৃতি তথ্য দিয়ে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। এরপর সিস্টেমে কাজ শুরু হলে আপনার মোবাইলে একটি মেসেজ আসবে যেখানে একটি পিন কোড থাকবে। সেই পিন নম্বরটি দেয়ার পর আপনার (সাধারণত ডান ও বাম হাতের দুটি করে) আঙুলের ছাপ নেয়া হবে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে। এর ওপর আঙুল রাখলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডিং সম্পন্ন হবে।

এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারে থাকা আপনার এনআইডির সাথে দেয়া ফিঙ্গারপ্রিন্টের সাথে মিলিয়ে দেখা হবে আপনি আসলেই সেই ব্যক্তি কিনা যার এনআইডি নাম্বার সিম নিবন্ধনের জন্য দিয়েছেন। আঙুলের ছাপ মিলে গেলে নিবন্ধন সম্পন্ন হতে মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগবে। নিবন্ধন সম্পন্ন হলে আপনার মোবাইলে মেসেজ আসবে যার মাধ্যমে জানানো হবে যে রেজিস্ট্রেশন সফল হয়েছে।

রি-রেজিস্ট্রেশনের সময় দেয়া আঙুলের ছাপ/অন্যান্য তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারে থাকা ছাপের সাথে না মিললে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবেনা। যদি এরকম সমস্যা হয় অথবা আপনার যদি এনআইডি কার্ড না থাকে তাহলে আপনার পরিবারের অন্য কারও নামে সিম নিবন্ধন করাতে পারবেন। গ্রামীণফোনের সাপোর্ট ডকুমেন্ট

অনুযায়ী

,

“প্রশ্নঃ যেসকল ব্যক্তির আঙুলের ছাপ নির্বাচন কমিশন ডাটাবেজ-এর সাথে মেলে না, তাদের জন্য ব্যবস্থা কী?

উত্তরঃ নতুন সিম ক্রয়ের জন্য বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক। এই ক্ষেত্রে গ্রাহক FnF বা আত্মীয়ের আসল জাতীয় পরিচয়পত্রের সাহায্যে নতুন সিম ক্রয় বা ব্যবহৃত সিম রি-রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন।”

অপরদিকে রবি’র সাপোর্ট ডকুমেন্ট

জানাচ্ছে

, “প্রশ্নঃ যদি কারো জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তাহলে আমরা গ্রাহকের কাছ থেকে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধন কিনবা ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করে সিম রি-রেজিস্ট্রেশন করতে পারবো?

উত্তরঃ হ্যাঁ । এক্ষেত্রে শুধুমাত্র WIC থেকে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধন কিনবা ওয়ার্ক পারমিট অনুসন্ধান করার পর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রি-রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। তবে গ্রাহককে পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে জাতীয় পরিচয় পত্র সহ যাচাইয়ের কাজটি করিয়ে নিতে হবে, অন্যথায় ৬ মাস পরে সিম ডি- অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে।”

বাংলালিংকের ওয়েবসাইটে দেয়া বিটিআরসির

এক ডকুমেন্ট

থেকে জানা যাচ্ছে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম ভেরিফিকেশন বা পুনঃনিবন্ধনের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল ২০১৬।

আপনি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম ভেরিফিকেশন বা পুনঃনিবন্ধন করেছেন তো?



পোস্ট টি ভাল লাগলে শেয়ার করতে পারেন। আপনার বন্ধুদের এই তথ্য জানার সুযোগ দিন। টেকটিউন্স এর সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ।

রেফারেন্সঃ banglatech24

আরও পড়ুনঃ


অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার উপায়


অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার সঠিক নিয়ম