বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতির কারখানা করবে মাহিন্দ্র

Jagonews24

ভারতের মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেড বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতির সংযোজন কারখানা করবে। এছাড়া প্রান্তিক কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার জনপ্রিয় ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজতর করতে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করার পাশাপাশি কৃষকদের ঋণ দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে কোম্পানিটির।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পবন গোয়েঙ্কা।

বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাহিন্দ্র সংযোজন কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি এদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও যারা খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করছে তাদেরকেও যন্ত্রাংশ তৈরির দায়িত্ব প্রদান করবে। যাতে করে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি হয়।

তিনি বলেন, পাশাপাশি কোম্পানিটি কৃষকদেরকে ঋণ দেয়ার চিন্তাভাবনাও করছে। কারণ যন্ত্রপাতির দাম অনেক বেশি হওয়ায় কৃষকেরা অনেক ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি কিনতে পারে না।

কৃষিমন্ত্রী এ সময় বলেন, বাংলাদেশে যান্ত্রিকীকরণে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেক। সেজন্য মাহিন্দ্র এখানে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। বিদেশি এসব উদ্যোগগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারলে যান্ত্রিকীকরণে সাফল্য আসবে এবং দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে তা বিরাট ভূমিকা রাখবে।

jagonews24

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ, বিএডিসির চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেডের ফার্ম ইকুইপমেন্ট সেক্টরের (এফইএস) প্রেসিডেন্ট হেমন্ত সিক্কা, এফইএস’র সিইও প্রকাশ ওয়াকানকার, বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড রবিন কুমার দাশসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ‘কৃষিখাতে ভারত-বাংলাদেশের সহযোগিতা বিষয়ক ডিজিটাল কনফারেন্স’-এর ফলোআপ হিসাবে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, সরকার এ বছর ২০০ কোটি টাকার মাধ্যমে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপারসহ কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। এছাড়া ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে প্রায় ৫১ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি দেয়া হবে। বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার বছরে প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলারের যা বছরে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে।

এনএইচ/এআরএ/জিকেএস