প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ১৮.৮ ভাগ

Jagonews24

দেশে বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার ১৮.৮ ভাগ। বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়া শিশুর হার প্রায় ২ ভাগ। এই ২০.৮ ভাগ শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এ জাতীয় ১০ লাখ শিশুকে চিহ্নিত করে করে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ফরিদপুর জেলায় ‘আউট চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রেজ’ শীর্ষক অবহিতকরণ কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘দয়া করে কেউ ফেক ছাত্র, ফেক শিক্ষক আনবেন না, তাদের নামে কার্যক্রম পরিচালিত করবেন না। তাহলে সরকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মহৎ এ উদ্যোগকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।’

সভায় জানানো হয়, বিদ্যালয়ের ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অঙ্গণে ফিরিয়ে এনে তাদের শিক্ষার মূল ধারায় সংযুক্ত করাই এ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য। এটি শুরু হয়েছে গত ২০১৮ সালের ১ জুলাই এবং শেষ হবে আগামী ২০৩০ সালের ৩০ জুন।

সরকারি উদ্যোগে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহ এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত করবে। ফরিদপুরে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে ‘এসো জাতি গড়ি’ নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে।

jagonews24

সভায় আরও জানানো হয়, দেশে বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার ১৮.৮ ভাগ। বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়া শিশুর হার প্রায় ২ ভাগ। এই ২০.৮ ভাগ শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য এ কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এ জাতীয় ১০ লাখ শিশুকে চিহ্নিত করে করে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল কবির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মোশাররফ আলী ও অধ্যাপক মো. শাহজাহান।

আলোচনায় অংশ নেন আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক ড. মো. আবদুল কাইয়ূম, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী গোলাম মোস্তফা, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজভী জামান, জেলা উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক নিলুফার চৌধুরী, ‘এসো জাতি গড়ি’-এর নির্বাহী পরিচালক নাজমা বেগম, জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মিনাক্ষী বিশ্বাস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক পান্না বালা, পিটিআইয়ের সুপার কুব্বাত আলম, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, পথকলির বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যদের নির্বাচিত করতে হবে। কারো চাপে নতিস্বীকার করা যাবে না। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতার সঙ্গে শিক্ষার ভীতি কাটিয়ে তাদের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনার কোনো বিকল্প নেই।

বি কে সিকদার সজল/এসআর/জিকেএস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *