ঝালকাঠিতে ৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থীই পায়নি মাধ্যমিকের বই

Jagonews24

সারাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১ জানুয়ারি থেকে বই উৎসব শুরু হয়েছে। সরকার ঘোষণা দিয়েছে ১ থেকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে সবাইকে বই দেয়া হবে। ১২ জানুয়ারি অতিবাহিত হলেও ঝালকাঠিতে মাধ্যমিকের ৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থীই এখনো বই পায়নি বলে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া বই বিতরণের তথ্য থেকে জানা গেছে।

জানা যায়, ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলায় মোট ৪০৪টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ৫৪ হাজার ৭৩১ জন শিক্ষার্থীর বইয়ের চাহিদা ৭ লাখ ৯২ হাজার ২৫৩টি। কিন্তু জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে জেলা শিক্ষা অফিস বই পেয়েছে ৫ লাখ ২ হাজার ৬৮৪টি। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৩৭ ভাগ কম। প্রাপ্ত বইয়ের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৭ হাজার ২৯৪টি বই। যা চাহিদার চেয়ে ৪৬ শতাংশ কম।

যদিও শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া বইয়ের ৮৫ ভাগ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলায় পাওয়া বইয়ের শতভাগ বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এই দুই উপজেলায় এখনো যথাক্রমে ৬৫ ভাগ ও ৫৫ ভাগ শিক্ষার্থী এখনো বই পায়নি। ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলায়ও যথাক্রমে শতকরা ৩১ ভাগ ও ৪৩ ভাগ শিক্ষার্থী এখনো বই পায়নি।

জেলার মোট ২০ হাজার ৭৭৬টি দাখিল মাদরাসায় বইয়ের চাহিদা ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৭৩টি হলেও এনসিটিবি থেকে বই পেয়েছে মাত্র ২৭ হাজার ৩৮০টি। বই পাওয়ার হার মাত্র ৮.৮২ শতাংশ।

ঝালকাঠিতে ইবতেদায়ি (প্রাথমিক) মাদরাসা রয়েছে ২৬ হাজার ২৪৫টি। এনসিটিবি থেকে বরাদ্দ বই ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৪৬টি হলেও শিক্ষা অফিস বই পেয়েছে মাত্র ৫৯ হাজার ৩৫৪টি। ঘাটতি ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৯২টি। প্রাপ্ত বইয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে এখন পর্যন্ত ৫০ ভাগেরও কম বই বিতরণ সম্ভব হয়েছে।

এসএসসি ভোকেশনাল স্কুল রয়েছে জেলায় ১ হাজার ৪৮৪টি। ২৫ হাজার ৭১টি বইয়ের চাহিদা থাকলেও জেলায় বই পেয়েছে ৪ হাজার ৯০টি। ঘাটতি প্রায় ২১ হাজার। দাখিল ভোকেশনাল শাখা রয়েছে ২৬০টি মাদরাসায়। ৩ হাজার ৬৪০টি বইয়ের চাহিদা থাকলেও ঘাটতি ৩ হাজার ১২০টি।

জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে বই প্রস্তুত করতে সরকারকে অনেক সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে। এখনো তাই শতভাগ বই জেলায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

ঝালকাঠি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, ‘এ বছরও সরকার সময়মতো বই দেয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শতভাগ বই দেয়া সম্পন্ন করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

আতিকুর রহমান/এআরএ/জিকেএস