জমি পরিমাপ শুধু কি আমিন করতে পারে ? আমিন ভুল বোঝাচ্ছে কি না তা বোঝার জন্য করনিয় কি ?

TechtunesBd


ভূমির পরিমাণ পদ্ধতি

বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এককের মানে বিভিন্নতা পরিদৃষ্ট হয়।

বাংলাদেশে

জমি

বা

ভূমি

সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলা লিখন, সরকারি হিসাব ও অফিসের কাজে ব্যবহার্য দুই প্রকার

পরিমাপ

হলো শতাংশের হিসাব ও কাঠা’র হিসাব। এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক এই যে এক একরের এক শত ভাগের এক ভাগকে বলা হয় “এক-শতাংশ” জমি। অধিকতর প্রচলিত শব্দবন্ধ হলো “

এক ডেসিমাল জমি

“। অন্যদিকে কাঠার উর্ধ্বতর একক হলো “বিঘা” এবং বিঘা’র উর্ধ্বতর একক হলো “একর।” ২০ কাঠা সমান এক বিঘা

জমি

এবং তিন বিঘা সমান এক একর

জমি

। এই পরিমাপ সর্বজনীন, এবং “প্রমিত মান” (Standard Measurement) হিসেবে সরকারীভাবে অনুমোদিত। তবে আন্তজার্তিক প্রয়োজনে কখনো কখনো সরকারী কাগজে হেক্টর ব্যহার করা হয়ে থাকে।


খতিয়ানঃ


জমি পরিমাপ পদ্ধতি

মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক

ভূমি

মালিকের

ভূ-সম্পত্তির

বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম,

জমির

দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য।

ভূমি

জরিপকালে

ভূমি

মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক।


আর এস খতিয়ানঃ


জমি পরিমাপ পদ্ধতি

বা একবার

জরিপ

হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে

জরিপ

করা হয় তা

আরএস খতিয়ান

নামে পরিচিত। দেখা যায় যে, এসএ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত

খতিয়ান

প্রস্তুতের সময়

জরিপ

কর্মচারীরা সরেজমিনে তদন্ত করেনি। তাতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। ওই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে

ভূমি

মাপ-ঝোঁক করে পুনরায়

খতিয়ান

প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই খতিয়ান

আরএস খতিয়ান

নামে পরিচিত। সারাদেশে এখন পর্যন্ত তা সমাপ্ত না হলেও অনেক জেলাতেই আরএস খতিয়ান চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

সরকারি আমিনরা মাঠে গিয়ে সরেজমিনে

জমি পরিমাপ

করে এই

খতিয়ান

প্রস্তুত করেন বলে তাতে ভুলত্রুটি কম লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এই খতিয়ান

বি এস খতিয়ান

নামেও পরিচিত।


বি এস খতিয়ানঃ


জমি পরিমাপ পদ্ধতি

সর্ব শেষ এই জরিপ ১৯৯০ সা পরিচালিত হয়। ঢাকা অঞ্চলে

মহানগর জরিপ

হিসাবেও পরিচিত।


“দলিল” কাকে বলে?

যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে

দলিল

বলা হয়। তবে

রেজিস্ট্রেশন

আইনের বিধান মোতাবেক

জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা

সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে

চুক্তিপত্র

সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবেতাকে

দলিল

বলে।



ফ্লাট বা প্লট


সম্পর্কে


জানতে এখানে ক্লিক করুন


“খানাপুরি” কাকে বলে?


জমি পরিমাপ পদ্ধতি

বা জরিপের সময়

মৌজা

নক্সা প্রস্তুত করার পর

খতিয়ান

প্রস্তুতকালে

খতিয়ান

ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম

জরিপ

কর্মচারী কর্তৃক পূরন করার প্রক্রিয়াকে

খানাপুরি

বলে।


নামজারি কাকে বলে ?


জমি

ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে

জমির

নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম

সরকারি খতিয়ানভুক্ত

করার প্রক্রিয়াকে

নামজারী

বলা হয়।



জমি পরিমাপ পদ্ধতিঃ সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন