ইউটিউব থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন?

TechtunesBd


ইউটিউব কি?

ইউটিউব হচ্ছে গুগোলের একটি ফ্রি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম, এখানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের বিভিন্ন রকমের ভিডিও কন্টেন্ট পাবলিশ করে, এবং ভিজিটররা সেখানে গিয়ে সেগুলো ভিডিও কন্টেন্ট ফ্রিতে দেখতে পারে।

Website link :

https://www.youtube.com


কেন ইউটিউব ব্যবহার করবেন এবং এর গুরুত্বঃ

আমার মতে ইউটিউব হচ্ছে একটা জ্ঞানের ভান্ডার, প্রচুর পরিমাণ ভিডিও কন্টেন্ট প্রতিদিন আপলোড হচ্ছেই ইউটিউবে, অনেক শিক্ষামূলক ভিডিও, বিনোদন, খেলাধুলা, সঙ্গীত, কোর্স, টিউটোরিয়াল ফ্রিতে আপনি পেয়ে যাবেন ইউটিউবে।।

ফ্রি হওয়ার কারণে ইউটিউবে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকেই সবসময়।।প্রচুর পরিমাণ ইউজার ফ্রেন্ডলি যার জন্য বুঝতে সুবিধা, মানুষ সাধারণ কোন বিষয়ে পড়ার চেয়ে দেখে জ্ঞান বেশি ভিতরে ঢুকিয়ে নিতে পারে, যার জন্য সবকিছুই প্রাক্টিকাল মনে হবে নিজের কাছে।। সহজ আরনিং মেথড, সহজেই ইনকাম করা যায়, খুব সহজেই আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে পারেন। পরিশ্রমের তুলনায় অধিক মুনাফাদায়ক মার্কেটিং পদ্ধতি।


আয়ের পদ্ধতিঃ

আপনার একটি গুগল অর্থাৎ জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে ইউটিউবে চ্যানেল খুলে ফেলার জন্য। ওই জিমেইল দিয়েই ইউটিউব ব্যবহার করতে পারবেন।আপনার প্রতিভা অনুযায়ী সুন্দর একটি চ্যানেল খুলবেন।আপনার প্রতিভা কিংবা প্যাশন কে কাজে লাগিয়ে মানুষের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করবেন যেগুলা মানুষ পেলে উপকৃত হবে কিংবা বিনোদিত হবে,তারপর আপনার সেই চ্যানেলে আপনার ভিডিও আপলোড করবেন, ইউটিউবের রিকোয়ারমেন্ট ফুল হওয়ার পর আপনি আপনার চ্যালেন মনিটাইজ করতে পারবেন আডসেন্স থেকে তাহলে সেই ভিডিও তে বিজ্ঞাপণ আসবে, ভিজিটররা আপনার ভিডিও দেখার সময় তাদের ডিভাইসে অ্যাড দেখাবে আর আপনি আয় করবেন যা খুবই সহজ এবং এগুলা নিয়ে ইউটিউবে অনেক অনেক ভিডিও আছে দেখে নিতে পারেন সার্চ করে।


যা যা আপনাকে মাথায় রাখতে হবেঃ

অবশ্যয় আপনার মেধাকে কাজে লাগাবেন, নিজের সবটুকু দিয়ে হলেও, কারোর কাজ ভালো লাগলে কিংবা কাউকে ফলো করতে চাইলে তাকে হুবহু কপি করবেন না, আপনার মেধা ও আপনার ভালো লাগার সংমিশ্রণে আপনি অন্য ধাপের ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েট করবেন মানুষের জন্য, যেন সেইটা প্রত্যেক্টা মানুষকে নতুন একটি এক্সপেরিয়েন্স দিতে পারে, তাহলে আপনি সার্থক হবেনই হবেন।।

ইউটিউবে অনেক ভিডিও দেখবেন অনেক অনেক ভিউ হয়েছে, তাদের সুন্দর কোয়ালিটির কন্টেন্ট দেখেই সেইটা সম্ভব হয়েছে, তাই আপনাকে আপনার কন্টেন্টের উপর বেশি নজর দিতে হবে, ভালো কোয়ালিটির কন্টেন্ট ভালো ভিডিও এডিটিং স্কিল হইলে মানুষ আপনার কন্টেন্ট পছন্দ করবেই, আজে বাজে টাইপের কন্টেন্ট হইলে আপনার উচিৎ শুরু করার আগেই শেষ করে দেওয়া এই স্বপন দেখা।।

মানুষকে ভালো কিছু দিবেন তাহলেই আপনি ভালো কিছু পাবেন, শুধু ইনকাম ইনকাম করে মাথা ঠুকিয়ে লাভ হবে না যদি আপনি আপনার মেধার প্রকাশ আপনার কন্টেন্টে না দেখাইতে পারেন, অনেক টাইপের কন্টেন্ট হইতে পারে আপনার জন্য, যেমন আপনি কি নাচতে পারেন? তাহলে নাচই আপনার মেধা যুক্ত কন্টেন্ট, ভালো গাইতে পারেন? তাহলে আপনার গাওয়া ভানের ভিডিওই আপনার মেধার কন্টেন্ট, আপনি ভালো রাঁধতে পারেন? আপনার রেসিপিই আপনার মেধা যুক্ত পারফেক্ট কন্টেন্ট, আপনি প্রযুক্তি ভালোবাসেন? তাহলে দিন না আপনার জানা কোন কাজের ভিডিও টিউটোরিয়াল, কোডিং ভালোবাসেন? তাহলে শুরু করুন আপনার কোডিং এর টিউটোরিয়াল সিরিজ, মানুষ কে শিখানোর জন্য, এমন শত শত হাজার হাজার মেধার প্রকাশ প্রতিনিয়তই হচ্ছে ইউটিউবে,

তাই সবশেষে আপনার মেধা কে সন্মান করে আপনার জন্য শুভকামনা করছি, অন্যরা পারলে আপনিও পারবেন।।


নিয়ম-কানুনঃ

ইউটিউব প্রতিনিয়ত তাদের আরনিং পলিসি আপডেট করতেই পারে, ইউটিউবের নতুন নিয়ম অনুযায়ী আপনার ভিডিও থেকে এডসেন্স দিয়ে আয় করতে চাইলে আপনার চ্যানেলে অবশ্যই মিনিমাম একহাজার সাবস্ক্রাইবার এবং একবছরের ভিতর ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। তাহলেই আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপণ আসা শুরু করবেন এবং ধীরে ধীরে আপনার ইনকাম শুরু হবে।।

তবে, কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই YouTube partner program এবং YouTube community guidelines ভাল করে পড়ে ও বুঝে নিবেন।


শুরু করতে যা যা প্রয়োজনঃ

  • জিমেইল একাউন্ট
  • ভিডিও এডিটিং
  • ওয়েব সাইট
  • ভিডিও র‍্যাংকিং ইত্যাদি

আশা করি, আমার পোস্ট আপনাদের  অনেক ভালো লেগেছে এবং উপকৃত হয়েছেন, আপনাদের কোন জিজ্ঞাসা কিংবা এই পোস্ট সংক্রান্ত মতামত জানাতে পারেন আমাদের এই কমেন্ট বক্সে, আপনিও চাইলে আমাদের মত আপনার জ্ঞানকে লিখে শেয়ার করতে পারেন সবার মাঝে তাহলে দেড়ি না করে এখনই আমাদের টিউনার হয়ে যান এবং শেয়ার করুন আপনার জানা তথ্যবহুল লিখা।।