আইফোন চার্জার ও ইয়ারফোনের দাম কমিয়ে দিয়েছে অ্যাপল [আপডেট 2020]

TechtunesBd

অবশেষে গত ১৩ অক্টোবর

আইফোন ১২

সিরিজ প্রকাশ করলো অ্যাপল। ধারণা করা হয়েছিলো অ্যাপল এর আইফোন ১২ সিরিজ ফোনের বক্সে দেওয়া থাকবেনা ওয়াল চার্জার ও ইয়ারফোন। এতদিনের জল্পনাকল্পনাকে সত্যি প্রমাণ করে আইফোন ১২ সিরিজ এর বক্স থেকে বাস্তবেই ইয়ারপডস ও চার্জার অ্যাডাপ্টার বাদ দিয়েছে অ্যাপল।

আইফোন ১২ এর বক্সে ফোনের পাশাপাশি একমাত্র যে এক্সেসরি দেওয়া থাকবে, সেটি হলো ইউএসবি-সি টু লাইটনিং ক্যাবল। এটি কোনো ইউএসবি-সি পোর্টে কানেক্ট করে আইফোনে চার্জ দেওয়া যাবে।

নতুন আইফোনের বক্সে থাকছেনা কোনো ইয়ারফোন। তার মানে আপনি যদি আইফোন ১২ (অথবা রানিং অন্য মডেল) কিনতে চান, তাহলে আপনার আলাদাভাবে একটি চার্জার এবং একটি ইয়ারফোন কিনতে হবে।

অ্যাপল নিজেদের এই সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ হিসেবে দেখিয়েছে, কার্বন এমিশন কমানো ও সিংগেল প্যালেটে একসাথে বেশি ফোন শিপিং করা। চার্জার ও হেডফোন বাদ দেওয়ার কারণে ফোনের বক্সের আকার ছোট হবে, এবং এতে প্লাস্টিক ও কাগজের ব্যবহার কমবে। ফলে কার্বন নিঃসরণ কমতে সহায়ক হবে।

এই ঘোষণার পর অরিজিনাল ইয়ারপড ও ওয়াল চার্জার এর দাম কমিয়েছে অ্যাপল। পূর্বের দাম অপেক্ষা ১০ ডলার দাম কমানোর পর লাইটনিং কানেকটর‍যুক্ত অ্যাপল ইয়ারপড এর বর্তমান

দাম

১৯ ডলার। অন্যদিকে পূর্বের ২৯ ডলার দামের ১৮-ওয়াট পাওয়ার এডাপ্টার এর বদলে ২০-ওয়াটের পাওয়ার এডাপ্টার পাওয়া

যাবে

১০ ডলার কম দামে, অর্থাৎ ১৯ডলারে। সুতরাং নতুন আইফোন কিনলে পাওয়ার এডাপ্টার ও ইয়ারপডস এর জন্য ক্রেতাদের গুনতে হবে আলাদা ৩৮ ডলার।

এই বছরের অ্যাপল ওয়াচ লাইন-আপেও পাওয়ার এডাপ্টার দেয়নি অ্যাপল। সেটি থেকে অনুমান করে নেওয়া গিয়েছিল যে এই বছরের আইফোনের বক্সেও দেওয়া থাকবেনা পাওয়ার এডাপ্টার। তবে শুধুমাত্র আইফোন ১২ এর বক্স থেকেই যে পাওয়ার এডাপ্টার ও ইয়ারপড বাদ পড়ছে, তা না। অ্যাপল এর বিক্রিত বর্তমান সবকটি আইফোনের ক্ষেত্রেও থাকছে একই নিয়ম।

অর্থাৎ আইফোন এসই, আইফোন ১০আর ও আইফোন ১১ এর বক্সেও দেওয়া থাকবেনা পাওয়ার এডাপ্টার এবং ইয়ারপড।

মোট কথা, নতুন আইফোন কিনলে ফোনের বক্সে ক্রেতারা পাচ্ছেন না ইয়ারপডস ও পাওয়ার এডাপ্টার৷ নতুন আইফোনে আলাদা করেই কিনতে হবে ইয়ারপডস ও পাওয়ার এডাপ্টার, অথবা পুরাতন চার্জার ও ইয়ারফোন দিয়ে কাজ চালাতে হবে।

তবে সব ফোনের বক্সেই দেওয়া থাকবে ইউএসবি-সি টু লাইটনিং ক্যাবল। আর সান্ত্বনা হিসেবে ইয়ারফোনের দাম ১০ ডলার কমিয়ে চার্জারের ক্ষমতা একটু বাড়িয়ে সেটির দামও ১০ ডলার কমিয়েছে কোম্পানিটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিপূর্ণ প্যাকেজ পেতে আপনার ৩৮ ডলার বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে।

ওদিকে অ্যাপল বলছে, তারা আপনাকে ২০ ডলার ছাড় দিচ্ছে, বেশি চার্জ করার শক্তি দিচ্ছে ও কার্বন নিঃসরণ কমাচ্ছে। এটা কিন্তু অনেকটা সেই বাংলা বাগধারা “গরু মেরে জুতা দান” এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে। কারণ, যে কার্বনের জন্য এতকিছু, সেই কার্বন তো আখেরে থাকছেই, উল্টো আপনার পকেট থেকে ৩৮ ডলার খরচ হচ্ছে (যদি আলাদা চার্জার ও ইয়ারফোন অফিসিয়ালি কেনেন)!

এখন আপনি যদি কাউকে একটা আইফোন গিফট করতে চান তখন আপনার বাধ্য হয়েই আলাদা চার্জার ও ইয়ারফোন কিনে দিতে হবে। অনেকটা বিকাশ এ যেরকম কাউকে টাকা দেয়ার সময় মূল এমাউন্টের সাথে “খরচ” হিসেবে হাজারে ২০ টাকা দিয়ে দেন সেরকম আরকি!

কেমন লাগল অ্যাপলের এই সিদ্ধান্ত? অনুগ্রহ করে কমেন্টে জানান!

আরো পড়ুনঃ